Kajal Seikh: অভিষেক ওষুধ দিতেই ‘অসুখ’ সেরে গেল কাজলের?
Birbhum Politics: তবে এ ঘটনার নেপথ্যে যেতে হলে যেতে হবে বেশ কয়েকদিন আগে। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ভাই-সহ আরও এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কাজল শেখের লোকজনের বিরুদ্ধে। আর এই পুরো ঘটনাই ঘটেঠিল শতাব্দী রায়ের সামনে। জল গড়ায় কলকাতায়।

সিউড়ি: উপরতলা থেকে বারাবার এসেছে দ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা! একসঙ্গে মঞ্চ শেয়ারও করেছেন। উপরতলার নেতানেত্রীদের সঙ্গে হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘সবার উপরে দল সত্য, তাহার উপরে নাই’। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা যেন বদলাচ্ছে না কিছুতেই। উল্টে ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন সেই পুরনো ছবিটা ক্রমশ আরও স্পষ্ট হচ্ছে। এখন তো শুধু ট্রেলার চলছে, সিনেমা পুরো বাকি। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদিকে নিজের দিকে টেনে এ কথাই বলতে দেখা গেল বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে।
তবে এ ঘটনার নেপথ্যে যেতে হলে যেতে হবে বেশ কয়েকদিন আগে। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ভাই-সহ আরও এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কাজল শেখের লোকজনের বিরুদ্ধে। আর এই পুরো ঘটনাই ঘটেঠিল শতাব্দী রায়ের সামনে। জল গড়ায় কলকাতায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে উপর থেকে আসে বার্তা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সাফ নির্দেশ ছিল ঝামেলা যেন আলোচনার টেবিলেই মিটে যায়। অন্যথায় তাঁকে অন্য রাস্তা নিতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে থেকে কাউকে পাঠাতে হবে।
অভিষেকের এই নির্দেশই যেন অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ দিল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলরাম বাগদি রাতারাতি কাজল ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল। এরইমধ্যে তো বীরভূম জেলা পরিষদে কাজল ঘনিষ্ঠ নুরুল ইসলামের সঙ্গেও দেখা গেল বলরাম বাগদিকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কাজল বললেন, আমাদের মধ্যে যা দ্বন্দ্ব ছিল তা অনেকাংশেই মিটে গিয়েছে। কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করাচ্ছে। আমরা চিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাদের নির্দেশ এই ব্লক চলবে। অন্যদিকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিতে দেখা যায় বলরামকেও। ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে বলে মানছেন তিনিও।
