
বীরভূম: ভোটের আগে এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। দলের তরফে এখনও কোনও কেন্দ্রেই কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তার আগে আগাম নাম ঘোষণা করে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বলে দিলেন সাঁইথিয়ার তৃণমূল প্রার্থীর নাম। তাতেই এবার জোর শোরগোল দলের অন্দরে। দলের বিজয়া সম্মেলনী থেকে লীলাবতি সাহাকে জেতানোর আহ্বান কেষ্টর। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, লীলাবতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যারে প্রার্থী। তবে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। খোঁচা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
সাঁইথিয়া শহরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান থেকে অনুব্রত বলেন, “ছাব্বিশের ভোট কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। প্রার্থী যেই হোক চিন্তা করবেন না লীলাবতি সাহা ক্যান্ডিডেট মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যান্ডিডেট। জানবেন লীলাবতি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন না।” এ নিয়ে তরজা শুরু হতেই খোঁচা দিয়ে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলছেন, “এবার দেখা যাক কাজল শেখ কী করে। লীলাবতির লীলা কাজল শেখ কতদিন সহ্য করেন তা দেখতে হবে।”
সাম্প্রতিককালে কাজল-অনুব্রত সংঘাত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সংঘাত কম হয়নি। যদিও উপরতলা থেকে বারবার এসেছে কোন্দল ভুলে একসঙ্গে চলার বার্তা। কয়েকদিন আগে নানুর ব্লকেও দলের নির্দেশে হয়েছে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান। সেখানে গিয়েছিলেন কাজল শেখ। সেখান থেকেই কাজলের সাফ কথা, এবারের ভোটে নানুর থেকে ১ লক্ষ ১৮ হাজাররে বেশি ভোটের লিড হবে। এমনকি গোটা জেলার মধ্যে সবতেকে বেশি ভোটের লিড দেবে নানুরই। তবে তাঁকে কোনও প্রার্থীর নাম তিনি ঘোষণা করেননি। তবে একাধিক বিজয়া সম্মেলনীতে কোর কমিটির সদস্যদের না দেখতে পাওয়া নিয়ে তাঁর অকপট জবাব ছিল, “কে মঞ্চে থাকল, কে থাকল না সেটা ম্যাটার নয়। আমরা দলের সবাই নিজেদের দলের কর্মী হিসাবে মনে করি।” যা সংঘাতের আবহে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন অনুব্রতর মুখে সাঁইথিয়ার প্রার্থীর নামেই জোর চর্চা।