
কলকাতা: বীরভূমের বচসায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ। বেঁধে দেওয়া হল সময়। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার চিঠি পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন। বৃহস্পতিবার অনুব্রত অডিয়ো-কাণ্ডে এই চিঠি পাঠিয়েছে তারা।
কী লেখা রয়েছে সেই চিঠিতে?
মহিলা কমিশনের পাঠানো চিঠিতে সাফ লেখা রয়েছে, ‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে।’
আগেও নানা মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রতর। জেলও খেটেছেন। আবার জামিনও পেয়েছেন। অনুব্রত অতীত জুড়ে লেগে রয়েছে বিভিন্ন কাণ্ডের কথা। সেই অনুব্রতেরই এবার নাম জড়ায় সরকারি কর্মীকে কর্দয ভাষা গালাগালি করে। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পাঠানো চিঠিতে মহিলা কমিশন লিখছে, ‘যার অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন? যদি একজন উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকি শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?’
একদিকে অনুব্রতর বিরুদ্ধে কেন যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। অন্য়দিকে, আবার কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে তারা। রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে নেওয়া আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।
উল্লেখ্য, আইসিকে গালাগালি দেওয়ার অডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বোলপুর পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন যে কেষ্টর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। যৌন হেনস্থা থেকে সরকারি কর্মীকে হুমকি-গালাগালি, একাধিক ধারায় কেষ্টর বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। এমনকি, এরপরই অনুব্রতকে বেশ কয়েক বার বোলপুর SDPO অফিসে তলবও করা হয়। কিন্তু অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে হাজিরা দেননি তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনের ‘অসুস্থতা’ কাটিয়ে পুলিশের সম্মুখীন হয়েছেন কেষ্ট।