বীরভূম: পেশায় শিক্ষক ওনারা। এই বছর আঠারো বছরের বিবাহ বার্ষিকী পালন করবেন ওঁরা। আর সেই দিনই এক ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত। বিবাহ বার্ষিকীর আনন্দ অনুষ্ঠানে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করলেন স্বামী-স্ত্রী। নজির গড়লেন বীরভূমে।
বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বরূপ আচার্য্য (৪৮)। পেশায় একজন আইনজীবী। অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী সুমনা চক্রবর্তী (৩৮) তিনিও পেশায় শিক্ষিকা সঙ্গে একজন সমাজকর্মী। মঙ্গলবার তাঁদের ১৮ তম বিবাহবার্ষিকী। এই দিনই মানব সেবায় ব্রতী হলেন তাঁরা। বিবাহ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উভয়ের সম্মতিক্রমে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করলেন।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বীরভূম ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি প্রিয়নীল পাল তাদের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করান। উল্লেখ্য, এই সংস্থা জেলার সিউড়ি, রামপুরহাট,বোলপুর তিনটি সাব ডিভিশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছে। এদিন এই দম্পতি অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করে নজির গড়লেন জেলায়।
স্বরূপবাবু বলেন, “আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। সেই কারণে এই দিনটাকেই বেছে নিয়েছি দেহদানের জন্য। আসলে আমার স্ত্রীর ভীষণ ইচ্ছা ছিল আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আসলে পরবর্তী প্রজন্মে চিকিৎসা শাস্ত্রে ছাত্রদের সুবিধা হবে।” এই বিষয়ে ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য জানান, “আমরা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের ফর্ম নিয়ে ওনাদের কাছে এসেছিলাম। সেই ফর্ম আমরা যথাযথ ভাবে পূরণ করালাম। এরপর ফর্মটি চলে যাবে মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে। পরে সমস্ত কিছু নিয়ম পালনের পরে সেটি আবার ওনাদের কাছে ফেরত আসবে।”
আরও পড়ুন: Chitpur Women Harassment: দোষ কাটাতে মহিলাকে তারাপীঠে নিয়ে গিয়ে নিজেই ‘দোষ’ করে বসলেন জ্যোতিষী