বীরভূম: ভুয়ো আইপিএস সন্দেহে আটক এক মহিলা। জানা গিয়েছে ধৃত মহিলার নাম শর্মিষ্ঠা বেহরা। আদতে ওড়িশার বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা এসেছিলেন গ্রামে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে। পরে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশের হাতে আটক হন ওই মহিলা। তাঁর কাছে দুটি ওড়িশা পুলিশের আইডি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি, পাড়ুই থানর বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের সেহেরা গ্রামের।
পাড়ুই থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত শর্মিষ্ঠা নামের ওই মহিলা সেহেনা গ্রামেরই শেখ নজরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেই শুক্রবার সেহেনা গ্রামে আসেন তিনি। কিন্তু, ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বচসায় জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সেইসময়েই ওই মহিলার থেকে দুটি ভিন্ন আইডি কার্ড হাতে আসে পুলিশ অধিকর্তাদের। দুটি আইডি কার্ডই ওড়িশা পুলিশের। শর্মিষ্ঠার কাছে ওই আইডি কী করে এল তা নিয়েও বিশেষ মুখ খোলেননি তিনি।
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, শেখ নজরুল নামে যে যুবকের সঙ্গে শর্মিষ্ঠা সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন সেই যুবক ওড়িশায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর হয়ে কাজ করেন। সেখানেই কাজের সূত্রে তাঁর শর্মিষ্ঠার সঙ্গে আলাপ হয়। তবে, আদৌও ওই যুগল সত্যি কথা বলছেন না এর পেছনে কোনও চক্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক ভুয়ো অফিসারদের খোঁজ মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ভুয়ো টিকাকাণ্ডের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবের পর একে একে সনাতন রায় চৌধুরী-সহ একাধিক ভুয়ো সিআইডি অফিসার ও আইপিএস অফিসার ধরা পড়েছে রাজ্যে। ধরা পড়েছে ভুয়ো পঞ্চায়েত প্রধান থেকে ভুয়ো ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকও। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এই সকল ভুয়ো কর্মকর্তারা একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ রেখেছিলেন। এরপরেই সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। রাজ্যে একের পর এক বেড়েছে ভুয়ো তালিকা। এ বার সেই তালিকায় ওড়িশা নিবাসী বীরভূম প্রবাসী এই মহিলাও রয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: সর্বশিক্ষা অভিযানের হোস্টেল দুর্নীতির ‘ঘুঘু’! হিসেব মিলছে না ৩ কোটি টাকার…