বগটুই : ২১ মার্চের রাতে ঠিক কী হয়েছিল, কারা এ ভাবে অগুন ধরাল, সেই সব প্রশ্ন উত্তর খুঁজতে তদন্ত করছে সিবিআই। অভিশপ্ত বগটুই গ্রামের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছেন আধিকারিকরা। আর সিবিআই আধিকারিকদের সেই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দুটি টোটো। কে বা কারা ওই টোটো বগটুই-তে রেখে গেল, তার কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শেখলাল ও মিহিলালদের বক্তব্য অনুসারে জানা যায়, ওই টোটোতেই আনা হয়েছিল পেট্রোল বা কেরোসিনের মতো দাহ্য পদার্থ। তাই টোটোগুলি পরীক্ষা করছেন আধিকারিকরা। শুধু দুটো টোটো নয়, একটি কালো বাইক নিয়েও দানা বেঁধেছে রহস্য। কার বাইক, তা জানা যায়নি। এখনও একই জায়গায়, একই ভাবে রাখা আছে সেই বাইক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার পরের দিন সকালে তাঁরা দেখেন ওই দুটি টোটো গ্রামে রাখা রয়েছে। অথচ, এলাকার কোনও বাসিন্দার টোটো নয় সেটি। তাঁদের দাবি, সেগুলি রানা শেখে ও মিলন শেখের টোটো। ইতিমধ্যে বগটুই হত্যাকাণ্ডে রানা শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বগটুই গ্রামে তাঁর মামার বাড়ি। সেই বাড়িতেই রাখা ছিল টোটো। কিন্তু বেপাত্তা হয়ে যায় রানা। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনার অন্যতম দুই সাক্ষী হলেন শেখলাল শেখ ও মিহিলাল। তাঁদের দুজনের পরিবারের একাধিক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ওই অগ্নিকাণ্ডে। পেট্রোল বা কেরোসিন ঢেলে তাতে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। সরকারি হিসেব বলছে, ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই ঘটনার দোষীদের খুঁজে বের করতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই টোটো। শনিবার রাস্তা চিনিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের ওই টোটো দেখাতে নিয়ে যান শেখলাল শেখ। তিনি জানান, তিনি সবটা বলেছেন সিবিআই-কে। টোটোটি খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। টোটোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ একাধিক তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। টোটো থেকেই কোনও সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : Shatrughan Sinha: ‘উনি কবে প্রচারে ছিলেন?’ অনুব্রতকে কি চিনতেই পারলেন না শত্রুঘ্ন?