Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bagtui Massacre: রামপুরহাট হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মী সেজে কাদের আনাগোনা? কীসের ইঙ্গিত দিলেন শতরূপ?

Shatarup Ghosh : তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তিনি বলেন, "রামপুরহাট হাসপাতালে বগটুই কাণ্ডে চিকিৎসাধীন প্রত্যক্ষদর্শীদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে তৃণমূল। হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী সেজে তারা সিসিইউতে রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে নজরদারি করছে।"

Bagtui Massacre: রামপুরহাট হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মী সেজে কাদের আনাগোনা? কীসের ইঙ্গিত দিলেন শতরূপ?
রামপুরহাটে প্রতিবাদ মিছিলে শতরূপ ঘোষ। (ছবি - শতরূপ ঘোষের ফেসবুক)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2022 | 3:46 PM

রামপুরহাট : বগটুইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের (Bagtui Massacre) চিকিৎসাধীন প্রত্যক্ষদর্শীদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে তৃণমূল। এমনটাই অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। সোমবার বগটুই গিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে এইভাবেই ক্ষোভ উগরে দেন শতরূপ। উল্লেখ্য, বগটুই গ্রামের নৃশংস হত্যালীলার প্রতিবাদে রামপুরহাট পাঁচমাথার মোড় থেকে একটি মিছিল করে বামফ্রন্ট। সেই মিছিলে পা মেলান শতরূপ ঘোষও। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তিনি বলেন, “রামপুরহাট হাসপাতালে বগটুই কাণ্ডে চিকিৎসাধীন প্রত্যক্ষদর্শীদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে তৃণমূল। হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী সেজে তারা সিসিইউতে রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে নজরদারি করছে।”

সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “সিবিআই আধিকারিকরা যাওয়ার সময়ও তারা হাসপাতাল কর্মী হিসেবে সেখানে থাকছে এবং তদন্ত প্রভাবিত করছে। প্রতি মুহূর্তে এই তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের রাজনৈতিক বসদের কাছে খবর পাঠাচ্ছে।” এই বিষয়টি বামেরা হাইকোর্টকে জানাবে বলেও জানান শতরূপ ঘোষ। উল্লেখ্য, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার (২৮ মার্চ) রামপুরহাট বনধেরও ডাক দিয়েছিল বামেরা।

এদিকে শতরূপ ঘোষ তাঁর এই অভিযোগের বিষয়টি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও তুলে ধরেছেন। ফেসবুকে তিনি পোস্ট করেছেন, “রামপুরহাটে মিছিল চলাকালীন খবর পেলাম বগটুই হত্যাকাণ্ডে আহত হাসপাতালে ভর্তি নাজিমা বিবির অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। এক চিকিৎসকের বক্তব্য, “বাঁচানো সম্ভব নয়।” খবর পেয়েই হাসপাতালে গেলাম। পুলিশ প্রথমে চেষ্টা করল চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা না বলতে দিতে। আমরা অনড় থাকায় শেষে বাধ্য হল। হাসপাতালে আমরা থাকাকালীনই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা এলেন তদন্তের কাজে। সেখানেও পুলিশের উপস্থিতিতে দুই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের গতিবিধি, কাজকর্মের ‘খবর’ পৌঁছে দিচ্ছিল ফোনের ওপারের কোনও ‘দাদাকে।”

উল্লেখ্য, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নাজিমা বিবি। ৬৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শেষে সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। গতকালই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হয়নি। যে রামপুরহাট হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন, সেখানে বার্ন ইউনিট বলতে কিছু নেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর আগেই রামপুরহাট হাসপাতালে নাজিমা বিবি সহ অন্যান্যদের দেখতে এসে এই অভিযোগ করেছিলেন। বার্ন ইউনিট না থাকার পরেও কেন তাঁকে এভাবে রামপুরহাট হাসপাতালে ফেলে রাখা হল, সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: ‘সাহস বাড়ল আরও…’ সাসপেন্ড হওয়ার পর বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী