Suri: IC কলার ধরে টান, পাল্টা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া! সিউড়িতে দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশই
Suri: সিউড়ির মিনিস্টিলে দুজন অস্ত্র হাতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। মঙ্গলবার সকালে অস্ত্র-সহ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা উল্টে পুলিশের ওপরেই চড়াও হয়। আটক দুই যুবককে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন।
সিউড়ি: অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যেই চলছে উন্মত্ত দাপাদাপি। ধরতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হল পুলিশকেই। অভিযুক্তদের আটক করতেই পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ। আইসি-র কলার ধরে টানাটানি, নিগ্রহের অভিযোগ। বীরভূমের সিউড়িতে ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা।
জানা যাচ্ছে, সিউড়ির মিনিস্টিলে দুজন অস্ত্র হাতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। মঙ্গলবার সকালে অস্ত্র-সহ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা উল্টে পুলিশের ওপরেই চড়াও হয়। আটক দুই যুবককে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। চলতে থাকে চানা হিঁচড়া। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিউড়ি থানার আইসি। তাঁরও জামার কলার ধরে টেনে আনার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা পুলিশকেই লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে দেখা যায় গ্রামের মহিলাদের। এই ঘটনায় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গ্রাম জুড়ে তল্লাশি, চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।
যদিও এই ঘটনায় জড়ায় রাজনৈতিক রঙ। বিজেপির দাবি, যে দুই যুবক নিগৃহীত, তারা আসলে বিজেপি কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামছাড়া ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের দেখতে পেয়ে জোর করে হাতে অস্ত্র গুঁজে মারধর করা শুরু করে, ভিডিয়ো করে, তাই নিয়েই উত্তেজনা ছড়ায়।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। সেটা আগে থেকেই বারবার পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশকে জানিয়েও কোনওভাবে লাভ হচ্ছিল না। মঙ্গলবার সকালে অশান্তি ছড়াতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাতেই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন।
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর গায়ে হাত দিলে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ জানিয়েছেন, কিছু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবাইকেই গ্রেফতার করা হবে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করি না। তৃণমূলের কেউ যুক্ত নন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গোটা বাংলায় এই মুহূর্তে দুষ্কৃতীরাজ চলছে। আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে।”