Birbhum TMC: মোদীর বেঁধে দেওয়া সুর এবার কাজল শেখের গলাতেও! কী বললেন মমতার সৈনিক
Kajal Sheikh: পৌষমেলার মাঠে দাঁড়িয়ে এদিন কাজল শেখ বললেন, 'আমি নিজেও খাব না, কাউকে খেতেও দেব না।' দুর্নীতির সঙ্গে যে কোনও আপস নয়, সেকথা তো আগেই বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু কেন হঠাৎ আবার নতুন করে এমন বার্তা দিতে হল বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে?
বোলপুর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা…’। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে, একবার নয়, বার বার বলেছেন তিনি এ কথা। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অন্যতম সৈনিক তথা বীরভূমের জেলা সভাধিপতির মুখেও শোনা গেল সেই কথা। পৌষমেলার মাঠে দাঁড়িয়ে এদিন কাজল শেখ বললেন, ‘আমি নিজেও খাব না, কাউকে খেতেও দেব না।’ দুর্নীতির সঙ্গে যে কোনও আপস নয়, সেকথা তো আগেই বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু কেন হঠাৎ আবার নতুন করে এমন বার্তা দিতে হল বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে?
শান্তিনিকেতনের পূর্ব পল্লীর মাঠে চার দিন ধরে চলেছে পৌষমেলা। এখন ভাঙা মেলা চলছে। শুক্রবার দুপুরে সেই ভাঙা মেলা পরিদর্শনে যান বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মেলার আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়ে। উত্তরে কাজল শেখ বলেন, “চার মাস হয়ে গেল জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদে আমাকে বসানো হয়েছে। যেদিন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, সেদিনই বলেছিলাম, আমি নিজেও খাব না, কাউকে খেতেও দেব না। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।”
পূর্ব পল্লীর মাঠে মেলাকে কেন্দ্র করে যে অতীতে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেই কথাও এদিন উল্লেখ করেন কাজল। যদিও তিনি অতীতের প্রসঙ্গ নিয়ে বিশেষ ঘাটতে চান না এখন। শুধু বললেন, অনেক ঘটনা ঘটেছে অতীতে। তবে কী সেই ঘটনা? তা নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করেননি জেলা সভাধিপতি। তাঁর কথায়, “এবছর, একটা মাতাল পর্যন্ত মেলার মাঠে ছিল না।”
নিজের স্বচ্ছতা বোঝাতে গিয়ে কাজল বললেন, “আয়ের হিসেব আমাদের হাতে চলে এসেছে। এসডিও-র অফিসের কিছু সরকারি আধিকারিকের হাতেই সেটা রয়েছে। ব্যয়ের হিসেব এখনই দেওয়া যাবে না। বিদ্যুতের বিল মেটানোর পর, আয়-ব্যয়ের হিসেব দেওয়া হবে। বোলপুর পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার আকারে আয়-ব্যয়ের হিসেব ছাপিয়ে দেব।”