
বীরভূম: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন সব গন্ডগোল ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদি কাজল শেখের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তবে তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ছন্দপতন। বলরাম বাগদির লোকজনদের মারধরের অভিযোগ উঠলো কাজল শেখের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত নুরুল ইসলামের লোকজনের বিরুদ্ধে। ‘এভাবে থাকা যায় না’ মার খাওয়ার পর বললেন বলরাম।
বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের জানুরি গ্রামের বাসিন্দা বলরাম বাগদি। তাঁরই লোকজনদের মারধরের অভিযোগ। এই ঘটনায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি এক মহিলা এক পুরুষ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক ব্যক্তি জানান, “আমরা বলরাম বাগদির দল করি বলে আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমরাও তৃণমূলল ওরাও তৃণমূল। তাও মেরেছে।” অপরদিকে,বলরাম বাগদি বলেন,”অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে নুরুল ইসলামের সঙ্গে মিশে দল করার কথা ভেবেছিলাম, এবং বলেছিলাম আপনাদের সামনে। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে সেটা সম্ভব হবে না।”
এখানে উল্লেখ্য বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ভাই-সহ আরও এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কাজল শেখের লোকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ,এই ঘটনা ঘটেছিল শতাব্দী রায়ের সামনেই। জল গড়ায় কলকাতায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সাফ জানিয়েছিলেন সবটা মিটিয়ে নিতে হবে। এরপরই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলরাম বাগদি যোগ দেন কাজল শেখের দলে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পর দেখা গেল সব এই মারধরের ঘটনা।