পত্রাঘাতের জের! ইউজিসির চিঠিতেই তড়িঘড়ি বিতর্কে রাশ টানতে উদ্যোগী বিশ্বভারতী

Visva Bharati University:

পত্রাঘাতের জের! ইউজিসির চিঠিতেই তড়িঘড়ি বিতর্কে রাশ টানতে উদ্যোগী বিশ্বভারতী
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 12:13 AM

বোলপুর: সাম্প্রতিককালে বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছে গুরুদেবের শিক্ষাঙ্গন (VBU)। চলতি মাসেই পড়ুয়াদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছিল এসএফআই। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই পড়ুয়াদের সাসপেনশনের কারণ, পরীক্ষাবিধি, অধ্যাপক ও একাধিক অস্থায়ী কর্মীদের বদলি ও বরখাস্ত, বকেয়া বেতন মেটানো-সহ একাধিক বিতর্কিত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও প্রমাণ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠায় ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন ইউজিসি। সেই এক চিঠিতেই কাজ হল বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। তড়িঘড়ি, পরীক্ষা পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিশ্বভারতী (VBU) কর্তৃপক্ষ।

শনিবারের প্রকাশিত সেই নোটিসে, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কখন কীভাবে হবে তার পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। নোটিসে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী শুধুমাত্র শেষ সেমিস্টারের অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষাল নেওয়া হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে ইন্টারনাল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং পূর্বতন সেমেস্টারের প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার্থীদের। পাশাপাশি ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, শেষ সেমেস্টারের পরীক্ষা আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।

এমফিল ও পিএইচডি পরীক্ষা হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। যেসব বিভাগে ইন্টার্নাল পরীক্ষার সুযোগ নেই, যেমন কলা ভবন ও শিল্প সদনের সমস্ত পড়ুয়াদের ই-পরীক্ষা নেওয়া হবে অনলাইন পদ্ধতিতে। প্রত্যেক বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে আগামী ২ অগস্টের মধ্যে প্রত্যেক বিভাগকে পড়ুয়াদের ইন্টারনালের প্রাপ্ত নম্বর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। তবে, যে পড়ুয়ারা অনলাইনে পরীক্ষা দিতে পারবেন না বা যাঁরা অনলাইনে পরীক্ষা দিতে সক্ষম নন, তাঁদের জন্য কী পদক্ষেপ করা হবে তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি। পাশাপাশি যে পড়ুয়ারা সাসপেন্ড হয়েছিলেন তাঁদের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে সে বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী (VBU)।

অন্যদিকে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে আরও একটি নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহ-অধ্যাপক ও অন্যান্য় কর্মীদের  বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, করোনা আবহে যখন খোদ রাজ্য সরকার মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা বাতিল করে দেয় তখন কার্যত রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধ অবস্থানে থেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বিশ্বভারতী স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনলাইনের সেই পরীক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে যদিও স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আরও পড়ুন: ‘কেন সাসপেনশন?’ রিপোর্ট চেয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে নোটিস ইউজিসির