Visva Bharati VC: ‘জমি দখল করে রাখলেই সে রাবীন্দ্রিক’, অমর্ত্য সেনকে চিঠি দেওয়ার পর বিস্ফোরক উপাচার্য

Visva Bharati VC: শান্তিনিকেতনে উপাসনা গৃহে প্রতি বুধবার বিশেষ প্রার্থনা করার ব্যবস্থা রয়েছে। এদিন সেই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি না এলে পড়ুয়ারা উপাসনা গৃহে আসেন না।

Visva Bharati VC: 'জমি দখল করে রাখলেই সে রাবীন্দ্রিক', অমর্ত্য সেনকে চিঠি দেওয়ার পর বিস্ফোরক উপাচার্য
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 11:08 AM

বোলপুর: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের কাছে জমি ফেরত দেওয়ার চিঠি পৌঁছনোর পরই আবারও বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। বুধবার উপাসনাগৃহে উপাসনার প্রাসঙ্গিকতার উদাহরণ দিতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘শান্তিনিকেতনে জমি দখল করে রাখলেই সে রাবীন্দ্রিক। উপাচার্যকে গালিগালাজ দিতে পারলে সেও রাবীন্দ্রিক। অন্যায় করলে রাবীন্দ্রিক। বিশ্বভারতীকে অপমান করতে পারলে সেই ব্যক্তিও রাবীন্দ্রিক।’ মঙ্গলবারই জমি ফেরত দেওয়ার কথা বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen)। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীতে আছেন বলেই হাতে চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি ওই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন নোবেলজয়ী। আর বুধবার সকালেই ‘রাবীন্দ্রিক’ শব্দের ব্যাখ্য়া দিলেন উপাচার্য।

শান্তিনিকেতনে উপাসনা গৃহে প্রতি বুধবার বিশেষ প্রার্থনা করার ব্যবস্থা রয়েছে। এদিন সেই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি না এলে পড়ুয়ারা উপাসনা গৃহে আসেন না। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিশ্বভারতীতে উচ্চশিক্ষিত মানুষ যেমন আছেন, সেরকমই অশিক্ষিত মানুষও আছেন। অল্পশিক্ষিত মানুষ তো সবথেকে বেশি ক্ষতিকারক। তাই এ সমস্ত মানুষদের কাছে রাবীন্দ্রিক কথার আসল অর্থ পাবেন না।’

তাঁর কথায়, ‘শান্তিনিকেতনে বসবাসকারী রাবীন্দ্রিক মানেই স্বার্থসিদ্ধির সোপান।’ যদি উপাসনা গৃহে কেউ না আসেন, তাহলে ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন উপাচার্য।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে। শুধু অভিযোগ তোলা নয়, অবিলম্বে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন। সমীক্ষার মাধ্যমে নাকি এমনটা জানা গিয়েছে। এটা পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন অমর্ত্য সেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আইনজীবীই চিঠির উত্তর দেবেন।