গাড়ি চালিয়ে মৃতদেহকে মর্গ থেকে বাড়ি পৌঁছে দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী
রবিবার সকাল থেকেই প্রচারে নামেন হাঁসনের কংগ্রেস প্রার্থী (Miltan Rashid)। আচমকা খবর পান এলাকার এক সতেরো বছরের কিশোরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। প্রচার থামিয়ে এরপর সোজা মর্গে গিয়ে হাজির হলেন এলাকার বিদায়ী বিধায়ক তথা কংগ্রেস প্রার্থী
বীরভূম: রবিবার সকাল থেকেই প্রচারে নামেন হাঁসনের কংগ্রেস প্রার্থী (Miltan Rashid)। আচমকা খবর পান এলাকার এক সতেরো বছরের কিশোরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। প্রচার থামিয়ে এরপর সোজা মর্গে গিয়ে হাজির হলেন এলাকার বিদায়ী বিধায়ক তথা কংগ্রেস প্রার্থী (Congress Candidate) মিল্টন। ময়নাতদন্তের সময় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন মর্গের সামনে। তার পর মৃতদেহকে মোটর ভ্যানে চাপিয়ে তা নিজেই চালিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন তিনি। কংগ্রেস প্রার্থীর এমন কাণ্ড দেখে কার্যত হকচকিয়ে গেলেন এলাকাবাসী।
বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার এলাকা। এদিন সকালেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন এলাকার কংগ্রেস প্রার্থী। হঠাৎই জানতে পারেন, হাঁসন বিধানসভা এলাকার ধল্লা গ্রামের মেঘনাদ প্রামাণিক নামে বছর সতেরোর এক কিশোরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে তার ময়নাতদন্ত চলছে। এই খবর পাওয়া মাত্রই মিল্টন প্রচার থামিয়ে ছোটেন রামপুরহাট। হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাঁকে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে দেহ নিয়ে মোটর ভ্যানে তুলে তা নিজেই চালিয়ে মৃত কিশোরের বাড়ি চলে যান তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়কের এহেন সৌজন্যতায় কার্যত হতচকিত হয়ে পড়ে শোকে মুহ্যমান পরিবার ও এ লাকাবাসী। কংগ্রেস প্রার্থী অবশ্য জানিয়ে দেন তিনি তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন। বার্তা দিলেলন এভাবেই সুখে-দুঃখে এলাকাবাসীর পাশেই থাকবেন তিনি।
রামপুরহাট কলেজে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হয়ে রাজনীতিতে প্রথম বার পরিচিত পান মিল্টন। মাস কয়েক আগে বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতির পদে বসেছেন হাঁসনের এই বিদায়ী বিধায়ক। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে হাঁসন কেন্দ্রে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের মিল্টন। তৃণমূলের প্রবল হাওয়াতেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, হাঁসনের দীর্ঘদিনের বিধায়ক অসিত মালকে ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ‘মাস্ক পরলে চিনতেই পারছে না’, করোনাবিধি শিকেয় তুলে আজব দাবি প্রার্থীদের
কংগ্রেসের কর্মীরা মানেন যে, খুব কঠিন সময়ে বীরভূমে মিল্টনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি-র দাপটে এই জেলায় কংগ্রেসের সংগঠন কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। তবে, মিল্টনের মতো তরুণ ও উৎসাহী নেতাকে পেয়ে কর্মীরা কিছুটা মনোবল পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে মিল্টনের প্রতিক্রিয়া, তিনি সবার বিধায়ক। জাতি-ধর্ম-বর্ণ- নির্বিশেষে সবার জনপ্রতিনিধি তিনি। পরিষেবার দেওয়ার সময় কারও ধর্ম, বর্ণ বা রাজনৈতিক দলের বিচার করিনি। তাই প্রচার ছেড়ে গরিব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।