Anubrata Mondal: ‘গাড়ি নিবি না গাঁজা কেস নিবি’?, ‘বীরভূমের রাজা’র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ময়ূরেশ্বরের যুবক…

Birbhum News: সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে যে গাড়িটি নথিভুক্ত, সেখানে ঠিকানা রয়েছে সিউড়ির। যাঁর ফোন নম্বর এই গাড়িটির জন্য নথিতে আছে, দেখা যাচ্ছে তিনি হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা শেখ সেলিম।

Anubrata Mondal: 'গাড়ি নিবি না গাঁজা কেস নিবি'?, 'বীরভূমের রাজা'র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ময়ূরেশ্বরের যুবক...
বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2022 | 7:56 PM

বীরভূম: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ১০ দিন হতে চলল সিবিআইয়ের অফিস নিজাম প্যালেসই তাঁর ঠিকানা। ১১ অগস্ট থেকে বীরভূমের দুঁদে তৃণমূল নেতার দিন কাটছে সেখানে। ওদিকে আবার সিবিআই চষে চলেছে ‘কেষ্ট গড়’ বীরভূম। তদন্তে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ তারা পেয়েছে। যার সঙ্গে অনুব্রত-যোগ বর্তমান বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। শনিবার আসানসোলে সিবিআই আদালতে তোলা হবে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তার আগে শুক্রবার সিবিআই হানা দিয়েছিল বোলপুরের ত্রিশূলপট্টির ভোলে ব্যোম চালকলে। সূত্রের খবর, এই চালকলের অংশীদার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল। ৫ কোটি টাকা মূল্যে কেনা ৪৫ বিঘা জমির উপর তৈরি এই রাইস মিলে এদিন সিবিআই পাঁচটি বহুমূল্যবান গাড়ি দেখতে পায়।

এই পাঁচটি গাড়ির মধ্যে কোনওটা হুডখোলা, কোনওটায় আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো রয়েছে। গ্রেফতারির কয়েকদিন আগে এরমধ্যে একটি গাড়ির নম্বরের সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়া নম্বরের গাড়ি নিয়ে কলকাতায়ও যান অনুব্রত। রাইস মিলের নিরাপত্তারক্ষী অবশ্য জানান, এই গাড়ির মালিকানা নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বলেন, এই রাইস মিলে অনুব্রত বা তাঁর কন্যাকে তিনি কোনওদিনও দেখেনওনি।

এদিকে সূত্রের খবর, পাঁচটি গাড়ির মধ্যে হুডখোলা জিপ মাহিন্দ্রা থর অর্ক দত্তর নামে। যিনি অনুব্রতর পিএ। মাহিন্দ্রা আলটারাজ জিফোরের রেজিস্ট্রেশন স্বাধীন নামে। ফোর্ড এনডেভার প্রবীর মণ্ডলের নামে রেজিস্ট্রেশন। মাহিন্দ্রা XUV ৫০০ সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। রয়েছে একটি টাটা সুমো গোল্ডও।

ময়ূরেশ্বর কোটাসপুরের বাসিন্দা প্রবীর মণ্ডল জানান, “তিলপাড়ায় সংস্কারের কাজ পেয়েছিলাম, তার বিনিময়ে গাড়িটা দেওয়া হয়েছিল। আমাকে বলা হয়েছিল গাড়ি না দিলে কাজ দেবে না। যদিও গাড়িটা দেওয়ার পরও কাজ পাইনি। উল্টে ১০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। যখন বলতে গেলাম আমাকে বলা হল গাড়ি নিবি না গাঁজা কেস নিবি? সায়গলের ফোন থেকে বলেছিল। ভয়ে আর কিছু বলতে পারিনি। বীরভূমের যে রাজা তার বিরুদ্ধে আর কিছু বলা যাবে?”

সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে যে গাড়িটি নথিভুক্ত, সেখানে ঠিকানা রয়েছে সিউড়ির। যাঁর ফোন নম্বর এই গাড়িটির জন্য নথিতে আছে, দেখা যাচ্ছে তিনি হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা শেখ সেলিম। টিভি নাইন বাংলা যোগাযোগ করে তাঁর সঙ্গেও। শেখ সেলিমের প্রতিক্রিয়া, “আমার কোনও চার চাকা গাড়ি নেই। আমার নম্বর দিয়ে কেন মোটর ভেহিক্যালসে রেজিস্ট্রেশন বলতে পারব না। আমার একটা বাইক আছে শুধু।”