Bagtui Massacre: কারা মারতে পারে, এসডিপিওকে নিজেই চিঠিতে লিখেছিলেন ভাদু শেখ, চেয়েছিলেন পুলিশি নিরাপত্তাও
Rampurhat: বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের যে লেটার হেড, তাতেই এই চিঠি লিখেছিলেন ভাদু শেখ।
বীরভূম: বগটুইয়ের ঘটনার তদন্তে শুক্রবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিনই আবার স্থানীয় বড়শোল গ্রামপঞ্চায়েতের নিহত উপপ্রধান ভাদু শেখের একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রামপুরহাটের এসডিপিওকে একটি চিঠি লিখেছিলেন ভাদু শেখ। যে চিঠিতে ভাদু তাঁর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কার কথা তুলে ধরে পুলিশি নিরাপত্তার দাবি করেছিলেন। যদিও এই চিঠির সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে এই চিঠি নতুন করে নানা প্রশ্ন উস্কে দিচ্ছে। সবথেকে বড় প্রশ্ন, একজন উপপ্রধান প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কার কথা তুলে ধরে পুলিশি নিরাপত্তা চাইলেও কেন তাঁকে তা দেওয়া হল না?
চিঠিতে ভাদু শেখ লিখেছিলেন, তাঁর দাদা বাবর শেখ খুন হয়েছিলেন। সেই খুনে অভিযুক্তরা সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। এরপরই আরও ভয়াবহ, দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। বগটুই গ্রামের আশেপাশে ঘোরাফেরাও করছেন। ভাদু শেখের বক্তব্য ছিল, ‘আমি আশঙ্কা করছি ওই দুষ্কৃতীরা আমার ভাইয়ের মতো আমাকেও প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। আমি এক জনপ্রতিনিধি। বড়শালের উপপ্রধান। আমাকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে সুবিচার দিন।’
বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের যে লেটার হেড, তাতেই এই চিঠি লিখেছিলেন ভাদু শেখ। একজন এসডিপিওকে চিঠি লেখার পরও কেন পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল না বা নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তারক্ষী দিল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। তাঁর দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠছিল। ভাদু শেখের এই চিঠি সামনে আসার পর সেই গাফিলতির অভিযোগই আরও সুদৃঢ় হল।
আরও পড়ুন: TMC on CBI investigation: ‘ছেড়ে কথা বলব না’, সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh on Anubrata Mondal: ‘বড় নেতা, বেশি বোঝেন’, অনুব্রত-র নাম শুনে কি চটে গেলেন কুণাল?
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: বগটুই ‘হত্যাকান্ডে’ সিবিআই তদন্তে কি তবে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের?