বীরভূম: বগটুইয়ে (Bagtui Massacre ) সেদিন রাতে কী হয়েছিল, চোখের সামনে দেখেছিল ১৪ বছরের কিশোর। বরাত জোরে পালিয়ে বাঁচে সে। তবে শরীরের অনেক জায়গাই পুড়ে গিয়েছিল। সে কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। এরপরই প্রথম শিরোনামে উঠে আসে তার কথা। এই সেই কিশোর, যে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল গত মঙ্গলবার। যদিও পরে সে ফিরে আসে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর এখন সে রামপুরহাটের (Rampurhat) এই অভিশপ্ত গ্রাম থেকে বহুদূরে এক আত্মীয়র বাড়িতে রয়েছে। হাত, পা, কোমরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। টিভি নাইন বাংলা খোঁজ পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। অকপট কিশোর তুলে ধরল সেই রাতের ভয়াবহ ছবিটা।
ওই কিশোরের কথায়, “আমরা নমাজ পড়ে এসে শুনি ভাদু শেখ খুন হয়েছে। শুনেই সবাই কাকিমার বাড়িতে চলে যাই। এরপরই রাতে শুরু হয় বোমাবাজি। হঠাৎই পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সব জ্বালিয়ে ছাড়খাড় করে দেয় ওরা। আমার কাকা, কাকার মেয়েরা, কাকিমা মারা গিয়েছে। আমি সেদিন ওই আগুন টপকেই পালিয়ে ছিলাম। আল্লার অশেষ কৃপা যে বেঁচে গিয়েছি।”
ওই কিশোর জানায়, “সেই রাতে আমরা চিৎকার করছিলাম বাঁচার জন্য। কিন্তু কেউ আসেনি। তার জন্য আমরা ওই দেওয়াল টপকে আগুন পার করেই পালাতে থাকি। যারা বেরোতে পারল না তারা পুড়ে শেষ। আমার কাকার দুই মেয়ে, ঠাকুমা, কাকিমা, পুড়ে শেষ। আমিও আটকে গেলে হয়ত শেষ হয়ে যেতাম। আমরা ৮-৯ জন পালিয়ে যাই বলে বেঁচে গেলাম। তবে ঘর তখন জ্বলছে। তাতেই কিছুটা পুড়ে যায় আমাক শরীর।”
আগুন ধরানোর আগে বাড়ির লোকেদের বীভৎসভাবে কুড়ুল দিয়ে কোপানো হয় বলেও দাবি করে ওই কিশোর। তার কথায়, কুপিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার কথায়, ‘পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ওরা। বোমা মারছিল পর পর। আমরা তো ভাবছিলাম বাঁচবই না আর। আল্লা হেফাজত করেছেন। কিন্তু এখনও ভয় লাগে।’
মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে সে। তাদের ঘরও পুড়েছে। সঙ্গে বইয়ের পাতাগুলোও ছাই। ওই কিশোরের কথায়, “প্রথমে আমার ছোট মা, কাকিমাকে কু়ড়ুল দিয়ে কোপানো হয়। তার পর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সকলে হাত জোর করে বলেছে তাও শোনেনি ওরা।”
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: পোড়া রক্ত, পোড়া মাংসের মাঝেই বগটুইয়ে প্রমাণ খুঁজছে সিবিআই, নজরে আট প্রশ্ন…
আরও পড়ুন: Ghatal Case: ছাদনাতলা থেকে মেয়েকে টেনে তুলে নিয়ে দৌড় মা-বাবার, ফেঁসে গেলে দাদু, মেসো
আরও পড়ুন: Kaliachak Blast: সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কালিয়াচক, মৃত্যু আট বছরের শিশুর
বীরভূম: বগটুইয়ে (Bagtui Massacre ) সেদিন রাতে কী হয়েছিল, চোখের সামনে দেখেছিল ১৪ বছরের কিশোর। বরাত জোরে পালিয়ে বাঁচে সে। তবে শরীরের অনেক জায়গাই পুড়ে গিয়েছিল। সে কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। এরপরই প্রথম শিরোনামে উঠে আসে তার কথা। এই সেই কিশোর, যে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল গত মঙ্গলবার। যদিও পরে সে ফিরে আসে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর এখন সে রামপুরহাটের (Rampurhat) এই অভিশপ্ত গ্রাম থেকে বহুদূরে এক আত্মীয়র বাড়িতে রয়েছে। হাত, পা, কোমরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। টিভি নাইন বাংলা খোঁজ পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। অকপট কিশোর তুলে ধরল সেই রাতের ভয়াবহ ছবিটা।
ওই কিশোরের কথায়, “আমরা নমাজ পড়ে এসে শুনি ভাদু শেখ খুন হয়েছে। শুনেই সবাই কাকিমার বাড়িতে চলে যাই। এরপরই রাতে শুরু হয় বোমাবাজি। হঠাৎই পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সব জ্বালিয়ে ছাড়খাড় করে দেয় ওরা। আমার কাকা, কাকার মেয়েরা, কাকিমা মারা গিয়েছে। আমি সেদিন ওই আগুন টপকেই পালিয়ে ছিলাম। আল্লার অশেষ কৃপা যে বেঁচে গিয়েছি।”
ওই কিশোর জানায়, “সেই রাতে আমরা চিৎকার করছিলাম বাঁচার জন্য। কিন্তু কেউ আসেনি। তার জন্য আমরা ওই দেওয়াল টপকে আগুন পার করেই পালাতে থাকি। যারা বেরোতে পারল না তারা পুড়ে শেষ। আমার কাকার দুই মেয়ে, ঠাকুমা, কাকিমা, পুড়ে শেষ। আমিও আটকে গেলে হয়ত শেষ হয়ে যেতাম। আমরা ৮-৯ জন পালিয়ে যাই বলে বেঁচে গেলাম। তবে ঘর তখন জ্বলছে। তাতেই কিছুটা পুড়ে যায় আমাক শরীর।”
আগুন ধরানোর আগে বাড়ির লোকেদের বীভৎসভাবে কুড়ুল দিয়ে কোপানো হয় বলেও দাবি করে ওই কিশোর। তার কথায়, কুপিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার কথায়, ‘পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ওরা। বোমা মারছিল পর পর। আমরা তো ভাবছিলাম বাঁচবই না আর। আল্লা হেফাজত করেছেন। কিন্তু এখনও ভয় লাগে।’
মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে সে। তাদের ঘরও পুড়েছে। সঙ্গে বইয়ের পাতাগুলোও ছাই। ওই কিশোরের কথায়, “প্রথমে আমার ছোট মা, কাকিমাকে কু়ড়ুল দিয়ে কোপানো হয়। তার পর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সকলে হাত জোর করে বলেছে তাও শোনেনি ওরা।”
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: পোড়া রক্ত, পোড়া মাংসের মাঝেই বগটুইয়ে প্রমাণ খুঁজছে সিবিআই, নজরে আট প্রশ্ন…
আরও পড়ুন: Ghatal Case: ছাদনাতলা থেকে মেয়েকে টেনে তুলে নিয়ে দৌড় মা-বাবার, ফেঁসে গেলে দাদু, মেসো
আরও পড়ুন: Kaliachak Blast: সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কালিয়াচক, মৃত্যু আট বছরের শিশুর