বীরভূম: বিষ খেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল লাভপুর গণধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতার। অভিযোগ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সামনেই বিষ খেয়ে ফেলেন ওই আদিবাসী তরুণী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপরই একাধিক বার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। অতীত ভুলে তিনি এক নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিলেন। এরই মধ্যে এই যুবককে বিয়ে করার কথা বলেন তরুণী। এরপরই ওই যুবক বেঁকে বসে। সোমবার স্থানীয় এক আমবাগানে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অভিযোগ, সেখানেই দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এরপর রাগে, অভিমানে বিষাক্ত কীটনাশক খেয়ে নেন ওই তরুণী। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে প্রেমিককে গ্রেফতার করে লাভপুর থানার পুলিশ।
২০১৪ সালের সেই ন্যক্করজনক ঘটনা এখনও ভোলেনি বাংলা। অন্য ধর্মের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোয় লাভপুরের এক আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সমাজের মোড়লের নিদানে ওই আদিবাসী তরুণী ও ভিন জাতের যুবককে রাতভর গাছে বেঁধে মারধরের পাশাপাশি ১৪ জন ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল গোটা বাংলা। অভিযুক্তদের সেই সময় গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বোলপুর আদালত।
এর পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। অতীতকে ভুলে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ওই তরুণী। প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এক যুবকের সঙ্গে। সম্পর্ক অনেক দূরই এগোয়। কিন্তু ইদানিং ওই যুবক তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে এদিনের ঘটনা। তদন্ত শুরু করেছে লাভপুর থানার পুলিশ। আরও পড়ুন: গাছের আড়ালে প্রেমিক-প্রেমিকাকে দেখেছিল মাতব্বররা, ধরে বেঁধে বিয়ে! রাত কাটতেই মাথায় বাজ পড়ল নতুন বউয়ের