AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আদি বিজেপি কর্মীদের ‘আক্রোশ’, মার খেলেন ‘দাদার অনুগামী’, ছিঁড়ল দাদার ফ্লেক্স

"দাদা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আমরা দাদার অনুগামী। তার মানে আমরাও বিজেপি। তাই তো সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির পতাকা লাগাচ্ছিলাম", বক্তব্য আক্রান্তের।

আদি বিজেপি কর্মীদের 'আক্রোশ', মার খেলেন 'দাদার অনুগামী', ছিঁড়ল দাদার ফ্লেক্স
এখানেই হামলার অভিযোগ উঠেছে।
| Updated on: Dec 22, 2020 | 2:52 PM
Share

মেদিনীপুর: বিজেপির লোকবল যত বাড়ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে আদি-নব্যর কোন্দল। এবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহায়তা কেন্দ্রে ভাঙচুর ও ‘দাদার অনুগামী’দের মারধরের অভিযোগ উঠল নারায়ণগড়ে। অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকেই। যদিও জেলা নেতৃত্ব এই গোষ্ঠীকোন্দল তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, তৃণমূল ইচ্ছে করে গোলমাল বাধাচ্ছে। বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টার করছে। পাল্টা তৃণমূলের তোপ, অন্যের ঘর ভাঙিয়ে শক্তি বাড়াতে গেলে পুরনো কর্মীরা তো প্রতিবাদ করবেই। বিজেপির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে।

‘দাদার অনুগামী’ সন্দীপ মেটিয়া।

গত ১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগড়ের মকরামপুরে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা ‘দাদা’র নামে একটি সহায়তা কেন্দ্র খোলেন। অভিযোগ, সোমবার রাতে সেখানেই ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি মারধরও করা হয় এক অনুগামীকে। এলাকায় দাদার অনুগামী সন্দীপ মেটিয়া বলেন, “দাদা (শুভেন্দু) যেহেতু বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাই আমরা তাঁর অনুগামী হয়ে সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির পতাকা লাগাচ্ছিলাম। তখনই বিজেপির কয়েকজন এসে নানা প্রশ্ন করে। কথা কাটাকাটির পরে মারধর করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলে দেয় ওরা। লণ্ডভণ্ড করা হয় অফিস।”

বিজেপি নেতা সত্যজিৎ দে।

অভিযোগ, একদল ছেলে এসে তাঁদের কাছে জানতে চায় বিজেপির কোন পদে তাঁরা আছেন, কবেই বা তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন। এরপরই কোনও কথা না শুনেই সহায়তা কেন্দ্রে ঢুকে চেয়ার উল্টে ফেলে দেওয়া হয়। সেখানে রাখা শুভেন্দু অধিকারীর ফ্লেক্স, প্রয়োজনীয় কাগজও ছিঁড়ে ফেলেন অভিযুক্তরা। তাঁরা বিজেপির পুরনো কর্মী বলেই দাবি সন্দীপের। “দাদা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আমরা দাদার অনুগামী। তার মানে আমরাও বিজেপি। তাই তো সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির পতাকা লাগাচ্ছিলাম” বক্তব্য সন্দীপের। দাদার এই অনুগামীর দাবি, নারায়ণগড় থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা। বিজেপির নারায়ণগড় উত্তর মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিত দে বলেন,” ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও লোকজন জড়িত নয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকেই এই কাজ করা হয়েছে। আমাদের দলে কেউ যদি আসতে চান, তাহলে তাঁকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আসতে হবে।”