জলপাইগুড়ি: ‘বঙ্গভঙ্গ’ বিতর্কে ঘি ঢেলে শনিবার ফের একবার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। সেই একই দিন বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করার জল্পনা আরও উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। জলপাইগুড়িতে প্রয়াত বিজেপি নেতা রবীন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর স্মরণ সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। সায়ন্তন বলেন, “রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনওদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।”
জলপাইগুড়িতে এসে আজ ফের একবার বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শোনা যায় সায়ন্তন বসুকে। তিনি বলেন, “রাজ্যে যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আজ না হোক কাল, রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবেই। এটা আমরা বলতে পারি।” তবে কি সায়ন্তন রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই ইঙ্গিত করছেন? তাঁর স্পষ্ট জবাব, “হতে পারে। কেন্দ্র কী করবে কেন্দ্রর ব্যাপার। রাষ্ট্রপতি শাসনও হতে পারে। কিছু না কিছু তো হবেই। সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একটা কঠোরতম ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে।”
আরও পড়ুন: ‘তিন বছর কে সেচমন্ত্রী ছিলেন খোঁজ নিন’, জমা জল নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই শুভেন্দুকে নিশানা ববির
অন্যদিকে, বিতর্কের জল ঘোলা হওয়া সত্ত্বেও শনিবার ফের একবার উত্তরবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। যদিও তাঁর পাশে উপস্থিত বিজেপির অন্যান্য সাংসদেরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। এ দিন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সায়ন্তন বলেন, “এটা নিয়ে আমরা দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জিন্নার মুখ থেকে বাংলাকে নিয়ে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।” অন্যদিকে জন বার্লার দাবিকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত’ মত বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলকে কি আন্ডার এস্টিমেট করলেন নেতারা?’ সীতারামের নিশানায় রাজ্য নেতৃত্ব