Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘তৃণমূলকে কি আন্ডার এস্টিমেট করলেন নেতারা?’ সীতারামের নিশানায় রাজ্য নেতৃত্ব

দু'দিনের বৈঠকে আব্বাসকে নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করল জেলা নেতৃত্ব। আইএসএফ (ISF) জোট নিয়ে বিরোধিতা বাড়ছে দলের অন্দরে।

'তৃণমূলকে কি আন্ডার এস্টিমেট করলেন নেতারা?' সীতারামের নিশানায় রাজ্য নেতৃত্ব
বিমান বসু ও সীতারাম ইয়েচুরি (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2021 | 4:38 PM

কলকাতা: রাজনীতির ময়দানে ঘুরে দাঁড়াতে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে (Abbas Sidiqi) হাতিয়ার করতে চেয়েছিল সিপিএম (CPM)। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানো তো দূর, বিধানসভায় শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বামেদের। একদিকে যখন হারের কারণ বিশ্লেষণ করতে মরিয়া বাম নেতৃত্ব, তখন দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিচ্ছে অসন্তোষ। এ বার রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করলেন খোদ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। রাজনৈতিক ছবিটা বুঝতে ভুল হল কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে,  আইএসএফের সঙ্গে জোট করাটাই ভুল ছিল বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্বেরই একাংশ। জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ধর্মনিরেপক্ষতা ও সাম্যবাদ নিয়ে সওয়াল করতে আব্বাসকে সিপিএম চিত্রনাট্য লিখে দিয়েছিল, এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে।

এ দিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর দাবি, সিপিএম বিজেপিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে গিয়ে তৃণমূলকে ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করেছে। ‘কেন বোঝা গেল না এ রাজ্যের রাজনীতি প্রকৃত চিত্র? তা বুঝতে কোথাও কি সমস্যা হয়েছে নেতাদের?’ সে প্রশ্নও তুলেছেন সীতারাম।

শনি ও রবিবার রাজ্য কমিটির বৈঠক চলছে আলিমুদ্দিনে। ভার্চুয়ালি হচ্ছে এই বৈঠক হচ্ছে। আর সেই বৈঠকে আইএসএফের সঙ্গে জোট ভুল ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে হাওড়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বেশ কয়েকটি জেলা কমিটি একাংশ। মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলো এই তালিকায় রয়েছে। ওই সব জেলার নেতাদের দাবি, নিচু তলার কর্মীদের পাশে নেই রাজ্য নেতৃত্ব। যা নিয়ে ক্ষোভ জেলা কমিটিগুলোতে। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনের পর শাসক দলের হাতে প্রহৃত হয়েছেন বহু দলীয় কর্মী। রাজ্য নেতৃত্ব এই সব ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হলেও পাশে দাঁড়াচ্ছেন না।

আরও পড়ুন: ‘তিন বছর কে সেচমন্ত্রী ছিলেন খোঁজ নিন’, জমা জল নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই শুভেন্দুকে নিশানা ববির

শনিবার পর্যালোচনার রিপোর্ট জমা পড়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে। সেই খসড়া রিপোর্টের দ্বিতীয় পাতায় লেখা হয়েছে, সিপিএম-সহ বামফ্রন্ট এবং সংযুক্ত মোর্চা রাজ্যে তৃণমূল সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রচার করছে ও তীব্র বিজেপি বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করেছে। বিজেপির পরাজয়ের পিছনে এই রাজনৈতিক প্রচারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেও মনে করছেন বাম নেতারা। রিপোর্টের ৬ নম্বর পাতায় লেখা রয়েছে, ২০১৬ সালে সন্ত্রাসের মধ্যেও বাম-কংগ্রেস নির্বাচনী আসন সমঝোতা পরিস্থিতির চাহিদা পূরণের উপযোগী হয়ে উঠলেও তা নানা অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়। ‘বিকল্প শক্তিকে উপেক্ষা করে চালাকি করে বিজেপি এবং আরএসএস তৃণমূলকে জয়ী করার কৌশল নেয়’, বলে দাবি রাজ্য নেতৃত্বের।