Durgapur: দোকানে জায়গা নেই, সরকারি বাস স্ট্যান্ডে থরে থরে মিষ্টি সাজিয়ে বসে পড়ল বিক্রেতা! প্রশ্ন করতেই উত্তর, ‘পরিষ্কার করি তো…’
Durgapur: বাস ধরার জন্য মানুষজন এলে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে রোদ উপেক্ষা করে। কিন্তু মিষ্টির দোকানের মালিক বলছেন. এই প্রতীক্ষালয়ের দেখভাল তিনিই করেন, সেই জন্যই মিষ্টি রেখেছেন।

দুর্গাপুর: সরকারি যাত্রী প্রতীক্ষালয় এখন মিষ্টির দোকানের এক্সটেনশন কাউন্টার। ক্ষোভ বাস যাত্রী ও এলাকার বাসিন্দাদের। দুর্গাপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাডকো মোড়ে রয়েছে একটি মিষ্টির দোকান। তার পাশেই রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের উদ্যোগে গড়ে ওঠা যাত্রী প্রতীক্ষালয়। আর সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয় ব্যবহার করেই চলছে মিষ্টির দোকানের কাজকর্ম। যাত্রীদের বসার জায়গায় রাখা রয়েছে সন্দেশ, লবঙ্গ লতিকা, গজা, কচুরি সহ নানান লোভনীয় মিষ্টি। মিষ্টির দোকানে ক্রেতাদেরও খাওয়ার জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রতীক্ষালয়ে বলে অভিযোগ।
বাস ধরার জন্য মানুষজন এলে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে রোদ উপেক্ষা করে। কিন্তু মিষ্টির দোকানের মালিক বলছেন. এই প্রতীক্ষালয়ের দেখভাল তিনিই করেন, সেই জন্যই মিষ্টি রেখেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কুমার পাশওয়ানের অভিযোগ, একাধিকবার মিষ্টির দোকানের মালিককে এগুলো সরানোর জন্য বলা হলেও কোন হেলদোল নেই। প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নেয় না। সমস্যায় ভুগতে হয় তাঁদের।
বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুইয়ের কটাক্ষ, দুর্গাপুর দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। এই মিষ্টির দোকান থেকেও তোলা নিচ্ছে প্রাক্তন কাউন্সিলররা। সেই অধিকারেই দোকানের মালিক ব্যবহার করছেন বাসযাত্রী প্রতীক্ষালয়।
দোকানের মালিক গৌতম বটব্যালের দাবি নববর্ষের জন্য দোকানে কাজকর্ম হচ্ছে। সেই জন্যই মিষ্টি রাখা হয়েছে প্রতীক্ষালয়ে। তিনি দাবি করেন, এই যাত্রী প্রতীক্ষালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন তিনি। সেই জন্যই মিষ্টি দোকানের জিনিসপত্র রেখেছেন। সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি।





