SIR: জেলাশাসককে সামনে পেয়ে কেঁদে ফেললেন BLO, কেন?
BLO crying: কান্নায় ভেঙে পড়ে শ্যামলী বলেন, "রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। খাবার খাওয়া ভুলে গিয়েছি।" আইসিডিএস কেন্দ্রের কাজও করতে হচ্ছে তাঁকে। তিনি বলেন, "পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। এদিক থেকে সুপারভাইজার চাপ দিচ্ছেন।"

আসানসোল: এসআইআর-র জন্য় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন তাঁরা। ফর্ম বিলির জন্য আট দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রাজ্যের সব ভোটারকে ফর্ম বিলি করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই, একপ্রকার নাওয়া-খাওয়া ভুলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO)। তার তা করতে তাঁদের কতটা চাপ সহ্য করতে হচ্ছে, সেকথা জেলাশাসককে জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন এক বিএলও। ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের। শ্যামলী মণ্ডল নামে ওই বিএলও যেভাবে কাজ করেছেন, তা শুনে প্রশংসা করলেন জেলাশাসক এস পোন্নাবলম।
শ্যামলী মণ্ডল আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর ৬৭ নম্বর বুথের বিএলও। আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী তিনি। বিএলওর দায়িত্ব পেয়েছেন। আইসিডিএস কেন্দ্রের পাশাপাশি তাঁকে SIR-র কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপ বাড়ছে। এই চাপ সহ্য না করতে পেরে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলমের কাছে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মঙ্গলবার সালানপুরের রূপনারায়ণপুরে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে এসেছিলেন জেলাশাসক এস পোন্নাবলম ও মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ওই অনুষ্ঠানে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁর চাপের কথা জানান শ্যামলী মণ্ডল। জেলাশাসক তাঁর কাছে জানতে চান, “১৪০০-র মধ্যে কতজনকে ফর্ম দিতে পেরেছেন?” প্রশ্ন শুনে শ্যামলী মণ্ডল বলেন, এখনও পর্যন্ত ১১০০ জনকে ফর্ম দিয়েছেন। যা শুনে জেলাশাসক বলেন, “দারুণ কাজ করেছেন আপনি।” পাশ থেকে মহকুমাশাসক বলেন, “আপনি তো চ্যাম্পিয়ন বিএলও।”
তখনই কান্নায় ভেঙে পড়ে শ্যামলী বলেন, “রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। খাবার খাওয়া ভুলে গিয়েছি।” ICDS কেন্দ্রের কাজও করতে হচ্ছে তাঁকে। তিনি বলেন, “পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। এদিক থেকে সুপারভাইজার চাপ দিচ্ছেন।” বিএলও-র দায়িত্ব পালনের সময় অন্য দায়িত্ব পালনের কথা নয়। কিন্তু, বিএলও জানান, তিনি এই নিয়ে কোনও নির্দেশ পাননি। শ্যামলী কোন আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী, তা নোট করতে বলেন জেলাশাসক। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ফর্ম বিলির সময়সীমা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। এরপর ওই মহিলা বিএলও-র মুখে হাসি ফোটে।
