AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভোটে হারলেও চাষিদের প্রাপ্য দিতে চায় কেন্দ্র, কিসান নিধি চালু করতে মমতাকে চিঠি কৃষিমন্ত্রীর

বিজেপির 'সোনার বাংলা' গড়ার স্বপ্নপূরণ হয়নি। তবে রাজ্যের কৃষকদের প্রাপ্য অর্থ সাহায্য করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে বিজেপি সরকার।

ভোটে হারলেও চাষিদের প্রাপ্য দিতে চায় কেন্দ্র, কিসান নিধি চালু করতে মমতাকে চিঠি কৃষিমন্ত্রীর
ছবি - টুইটার
| Updated on: May 03, 2021 | 8:51 PM
Share

কলকাতা: বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেক মধ্যে অন্যতম ছিল, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধির না পাওয়া ১৮ হাজার টাকাও দেওয়া হবে কৃষকদের। একই সঙ্গে প্রতি বছর চাষিদের অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার টাকা করেও দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যদিও বিজেপির ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্নপূরণ হয়নি। তবে রাজ্যের কৃষকদের প্রাপ্য অর্থ সাহায্য করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে বিজেপি সরকার।

বিজেপি সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সোমবার একটি চিঠি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তিনি কৃষকদের টাকা পাঠানোর জন্য নামের তালিকা যাচাই করতে বলেছেন রাজ্যকে। রাজ্যের কৃষকরা যাতে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করতে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্প রাজ্যে চালু করা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই টানাপড়েন চলেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে। আয়ুষ্মান ভারতের মতো এই প্রকল্পকেও রাজ্যে কার্যকর করতে চাননি মমতা। যদিও আয়ুষ্মান ভারতের মতো এক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কোনও আর্থিক সহযোগিতা করার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে বিজেপি প্রশ্ন তুলতে থাকে, তবে কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থেই কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত করছেন মমতা?

আরও পড়ুন: ‘গদ্দার’দের তৃণমূলে স্বাগত জানালেন মমতা

ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকায় গত কয়েক মাস আগে খানিকটা নরম হন মমতা। কেন্দ্রের এই প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে রাজি হলেও একটি শর্ত বেঁধে দেন। তা হল, কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা পাঠাবে এবং রাজ্য তা বণ্টন করবে। এতে বেঁকে বসে কেন্দ্র। দিল্লি দাবি করে, তারা সরাকরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টেই টাকা পাঠাবে। রাজ্যের কাজ হবে শুধু বাংলার যেসব কৃষকেরা এই সুবিধা পাওয়ার জন্য কেন্দ্রের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাদের তথ্য সত্যি কি না যাচাই করা। যদিও রাজ্য সে কাজে গড়িমসি করে এবং নির্বাচন চলে আসে। এ বার নতুন করে কেন্দ্রের চিঠিতে রাজ্য সরকারের টনক নড়ে কি না সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: ফোনে এসেছে সেই এসএমএস! নন্দীগ্রামের গণনার কারচুপি নিয়ে আসল তথ্য ফাঁস মমতার