Awas Yojana: ‘নিজের টাকা দান-ধ্যান করেছেন কখনও?’, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রশ্নে ‘নীরব’ নির্মাণ সহায়ক

একটি পাকা বাড়ির মালিকের নাম আবাস তালিকায় রাখা হয়েছে। এই নিয়ে বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অসীম নায়েককে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

Awas Yojana: 'নিজের টাকা দান-ধ্যান করেছেন কখনও?', কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রশ্নে 'নীরব' নির্মাণ সহায়ক
পঞ্চায়েত আধিকারিকদের তোপ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2023 | 11:32 PM

মহিষাদল: আবাস যোজনায় বেনিয়ম নিয়ে সরব বিরোধীরা। কোথাও পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম উঠছে। কোথাও পঞ্চায়েত প্রধানের পরিবারের ৬ জনের নাম থাকছে আবাসের তালিকায়। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে আবাস যোজনার তালিকায় খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে আবাস যোজনার প্রাপকদের তালিকায় খতিয়ে দেখতে গিয়ে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নজরে। এই নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে ভর্ৎসনা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক প্রশ্নে বিডিও-র জবাবেও তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

মহিষাদলের বেতকুন্ডুতে শুক্রবার যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল, মহিষাদলের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মণ্ডলও। সকাল থেকেই বেতকুন্ডুর বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেই সময় কমিটির চোখে পড়ে একটি পাকা বাড়ির মালিকের নাম আবাস তালিকায় রাখা হয়েছে। এই নিয়ে বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অসীম নায়েককে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। যথাযথ উত্তর না পেয়ে তাঁকে কিছুটা ভর্ৎসনা সুরে এক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি বলেন, “নিজের টাকা দান-ধ্যান করেছেন কখনও? তাহলে সরকারি টাকা এভাবে খরচ করছেন কেন?” নীরব থেকে মাথা নীচু করে সব শোনেন নির্মাণ সহায়ক।

অযোগ্যদের নাম কেন আবাস তালিকায়, তা নিয়ে বিডিও-কে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিডিও বলার চেষ্টা করেন, তালিকায় কোথাও ভুল হয়ে থাকলে, তা সংশোধন করা হবে। বিডিও-র জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের।

এই নিয়ে ওই পাকা বাড়ির মালিক বলেন, “এখনও বাড়ির ছাদ দিতে পারিনি। ভেতরে প্লাস্টারও হয়নি। তাই আবাস যোজনার টাকা পেলে ভাল হয়।” অযৌক্তিক প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে মহিষাদলের বিডিওর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আবাস যোজনায় বেনিয়ম নিয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করেছি যে শাসকদল বেছে বেছে আবাস তালিকায় নাম রেখেছে। প্রকৃত প্রাপকদের নাম রাখেনি। সরকারি আধিকারিকদের একাংশের সহযোগিতায় একাজ হয়েছে। এটা চরম অন্যায়।”

বিরোধীরা আক্রমণ করলেও তালিকা তৈরির পিছনে তাদের হাত নেই বলে সাফাই দিল তৃণমূল। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, যাঁরা যোগ্য ব্যক্তি তাঁরা বাড়ি পাবেন। প্রথম থেকে বলেছি, সরকারি আধিকারিকদের তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দল তালিকায় হস্তক্ষেপ করেনি। আমরা চাই, যোগ্য ব্যক্তিরা আবাসের বাড়ি পাক। যদি কোনও অযোগ্য ব্যক্তির নাম থাকে, তাহলে সেটা বাদ দেওয়া হোক।”