AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Child Murder: শিশুপুত্রকে খুনে গ্রেফতার মায়ের ফেরার ‘প্রেমিক’

প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মা তার পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্ত প্রেমিক।

Child Murder: শিশুপুত্রকে খুনে গ্রেফতার মায়ের ফেরার 'প্রেমিক'
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2023 | 12:31 AM
Share

কুলতলি: প্রেমের জন্য নিজের শিশু সন্তানকে খুন করাতেও হাত কাঁপল না মায়ের! প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মা তার পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার পুলিশ কুন্দখালি-গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আলটেখালি গ্রামে। যদিও রেহাই পায়নি অভিযুক্ত মা ও তার প্রেমিক। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মায়ের নাম মাফুজা পিয়াদা। কুন্দখালি-গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আলটেখালি গ্রামের গৃহবধূ মাফুজার সঙ্গে ওই এলাকারই বাসিন্দা আবুল হোসেন শেখের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। এরা দুজনে মিলে ৫ বছরের শিশুপুত্রকে খুন করেছে বলে অভিযোগ মাফুজার স্বামী তোয়েব আলি পিয়াদার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মাফুজাকে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিন ফেরার আব্দুল হোসেন শেখকে গ্রেফতার করে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।

মাফুজা পিয়াদাকে আগেই ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বারুইপুর আদালত। এদিন আব্দুল হোসেন শেখকেও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কুলতলি থানার পুলিশ। শিশুপুত্রের খুনের কিনারা করতে দু’জনকে মুখোমুখি জেরা করবেন তদন্তকারীরা। কেন শিশুটিকে খুন করা হল, তা জানার চেষ্টা চালাবেন তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, মাফুজার স্বামী তোয়েব আলি পিয়াদা কলকাতায় দিনমজুরের কাজ করেন। সেই সুযোগে দু’বছর ধরে মাফুজার সঙ্গে আব্দুল হোসেনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। এরপর বুধবার স্বামীর অনুপস্থিতিতে মাফুজার বাড়িতে যায় আব্দুল হোসেন। তারপর প্রতিবেশীরাই দেখতে পান, মাফুজা ও তোয়েব আলির পাঁচ বছরের শিশুপুত্রের মৃতদেহ। তার সারা শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন। এরপর প্রতিবেশীদের মনে সন্দেহ জাগে এবং তাঁরাই মাফুজাকে ধরে ফেলে। তারপর মাফুজাই তার শিশুপুত্রকে খুন করেছে অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী। এরপর তোয়েব আলি পিয়াদা কুলতলি থানায় গিয়ে স্ত্রী ও আব্দুল হোসেন শেখের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল আব্দুল হোসেন। তিনদিন পর অবশেষে এদিন তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।