Purba Bardhaman: রাতে ছাত্রীদের ফোনে অশ্লীল মেসেজ, পড়ানোর নামে শরীরে স্পর্শ, একই স্কুলের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
Purba Bardhaman: ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলছেন, “স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগটি পূর্বস্থলী থানায় ফরোয়ার্ড করা হয়েছে। তারাই যা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবেন।”

কৌশিক দত্ত ও সুমন মহাপাত্রের রিপোর্ট
পূর্বস্থলী: নানা ছুতোয় ছাত্রীদের রাতে অশ্লীল মেসেজ পাঠাচ্ছেন, কোনও কোনও ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে হবে বলেও নাকি ছড়িয়েছে জল্পনা। অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। পড়ানোর নামে ছাত্রীদের প্রাইভেট পার্টে হাত দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলেরই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তাল স্কুল। উত্তাল এলাকা। আন্দোলনরত অভিভাবকদের অভিযোগ, বারবার জানানোর পরেও স্কুলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই ক্ষোভেই এদিন পূর্বস্থলীর ওই স্কুলে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। প্রধান শিক্ষকের দাবিও ওঠে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যদিও বলছেন, “স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগটি পূর্বস্থলী থানায় ফরোয়ার্ড করা হয়েছে। তারাই যা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবেন।” উত্তেজনার খবর যায় পুলিশের কানেও। কিছু সময়ের মধ্যেই স্কুলে এসে যায় পূর্বস্থালী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে যে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের মধ্যে আবার একজন সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও অভিযুক্ত শিক্ষকদের গ্রেফতারির দাবিতে প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকেরা। চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত পদ থেকে পদত্যাগও করে দেন প্রধান শিক্ষক। এদিন রাতেই স্কুলের চাবি তুলে দিলেন স্কুল পরিচালন কমিটির হাতে। অন্যদিকে এদিনই আবার কলকাতার শ্যামপুকুর থানা এলাকায় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে নোংরা আচরণের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। ললিপপ দেওয়ার নাম করে জোর করে ওই ছাত্রীকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ স্কুলে কর্মরত এক মিস্ত্রির বিরুদ্ধে। নিম্নাঙ্গ অনাবৃত করে ছাত্রীকে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ওই মিস্ত্রির বিরুদ্ধে। খবর চাউর হতেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকেরা। থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।





