দেশ: আফগানিস্তানে তালিবানি উত্থান নিয়ে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এরই মাঝে তালিবানিদের সমর্থন করে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছিলেন অসমের ধুবরি জেলার হাটশিঙিমারীর নুর আলম। এই কারণে এদিন সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে সেখান থেকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। শুধু নুর নন, এমন আরও ১৩ জন অসমের বাসিন্দাকে তালিবানদের সমর্থনের অভিযোগে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধুবরি জেলায় আরও দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের নাম সৈয়দ আহমেদ ও আরমান হোসেন। নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তালিবানিদের সমর্থনে তাঁরা পোস্ট করেছিলেন অভিযোগ। এই কারণে ধুবরি জেলার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
এই নিয়ে অসম জুড়ে মোট ১৪ জনকে গ্রেফতারের খবর মিলেছে। সামাজিক মাধ্যমে তালিবানকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন এই যুবকরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA), সাইবার ক্রাইম এবং ভারতীয় ফৌজদারি আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই আগেই দেশবাসীকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট করছেন অনেক নেটিজেন। সেখান থেকে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তদন্ত চালিয়ে অসমের কামরূপ মেট্রোপলিটন, বারপেটা, ধুবরি, করিমগঞ্জ, দারাং, কাছার, হাইলাকান্দি, দক্ষিণ শালমারা, গোয়ালপাড়া এবং হাজোই থেকে এমনই ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তালিবানদের সমর্থনে একের পর এক পোস্ট করেছেন বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে অসমে।
#assampolice are taking stern legal action against pro #Taliban comments in the social media platform that are harmful to the National Security. We’re registering criminal cases against such persons. Please inform the police if any such thing comes to your notice
— Violet Baruah IPS (@violet_baruah) August 21, 2021
এ নিয়ে অসমের ডিআইজি ভায়োলেট বড়ুয়া একটি টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন যারা তালিবানের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্য পোস্ট করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে। টুইটারে তিনি লেখেন, “তালিবানের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট যা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক, তাতে কড়া পদক্ষেপ করবে অসম পুলিশ। আমরা এঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করছি। এমন কোনও ঘটনা কারও জানা থাকলে পুলিশকে জানান।” আরও পড়ুন: ‘তালিবানকে দেখে কাশ্মীর নিয়ে শিক্ষা নিক কেন্দ্র’, মুফতির বক্তব্যে বিতর্ক, শাস্তির দাবি জানাল বিজেপি