‘তালিবানকে দেখে কাশ্মীর নিয়ে শিক্ষা নিক কেন্দ্র’, মুফতির বক্তব্যে বিতর্ক, শাস্তির দাবি জানাল বিজেপি
জঙ্গি গোষ্ঠীর তুলনা টেনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়াকে ভালভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা।
নয়া দিল্লি: জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের অধিকার ফিরে পেতে এ বার তালিবানকেই হাতিয়ার করলেন পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি। শনিবার তিনি তালিবানের তুলনা টেনে কেন্দ্রকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, কাশ্মীরি নেতাদের সঙ্গে যেন এখনই আলাপ আলোচনা শুরু করা হয়। এবং কাশ্মীরকে রাজ্য ও আগের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে জঙ্গি গোষ্ঠীর তুলনা টেনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়াকে ভালভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও।
কয়েক বছর আগেও এই মেহেবুবা মুফতির পিডিপির সঙ্গে জোট করেই জম্মু কাশ্মীরে সরকার চালিয়েছে বিজেপি। কিন্তু শেষ দু-তিন বছরে সম্পর্ক এসে ঠেকেছে আদায়-কাঁচকলায়। উপত্যকা থেকে সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেওয়া বিশেষ অধিকার প্রত্যাহারের পরে তো আরও অবনতি হয়েছে সম্পর্কের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে চেয়ে শনিবার তালিবানের উদাহরণ টেনে আনেন মুফতি। পিডিপি নেত্রী বলেন, “আপনারা আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। দেখুন কী ভাবে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকাকে উৎখাত করেছে তালিবান। এখনও দেরি হয়ে যায়নি। ক্রমাগত এনআইএ এবং ইডি-র মতো সংগঠনকে ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদের অতিষ্ট করার জন্য।”
মোদী সরকারকে মেহেবুবা মুফতির পরামর্শ, “অটল বিহারী বাজপেয়ীর দেখানো পথ অনুসরণ করে পাকিস্তান এবং কাশ্মীরিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলে, “স্বাধীনতার সময় যদি বিজেপি নামক কোনও দল থাকতো তবে কাশ্মীর কোনওদিন ভারতের অন্তর্গত হত না।” তাঁর সাফ কথা, “প্রতিবেশী রাজ্যে দেখুন কী হচ্ছে। আমেরিকাকেও তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। আপনাদের কাছে এখনও সুযোগ আছে। বাজপেয়ীজির মতো আলোচনা করুন। কাশ্মীরের সঙ্গে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে।”
তাঁর এই মন্তব্যের পরই পাল্টা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতির এহেন মন্তব্য থেকে দূরে থাকা উচিত যা বিভাজনের কথা বলে। জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে, থাকবে।” বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার পক্ষ থেকে মুফতিকে শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র রায়না সরাসরি মুফতিকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আরও পড়ুন: ‘অপদার্থ’ বাইডেনকে মার্কিন রাষ্ট্রপতির আসনে দেখতে চেয়েছিল খোদ ওসামা বিন লাদেন!