
মোথাবাড়ি: বৃহস্পতিবারই কলকাতার রামলীলা ময়দানে বড় সভা করে ফেলেছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠন। হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও। ওয়াকফ আইন নিয়ে ফের একবার গর্জে উঠলেন মঞ্চ থেকেই। তাঁর সাফ কথা, ওয়াকফ আইন তাঁরা মানছেন না। ইতিমধ্যেই এই আইনের বিরোধিতায় ১ কোটি সই সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে বিল থেকে আইন হতে না হতেই ওয়াকফ নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। যদিও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মনে করেছেন হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিন মালদহে ডিএম অফিস অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। সেখানে থেকেই ফের একবার ওয়াকফ নিয়ে গর্জে ওঠেন দিলীপ। তাঁর সাফ কথা, “সবটাই প্ল্যান করে করা হচ্ছে। ওয়াকফ বিল নিয়ে যে সব জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে তা হিন্দু সমাজকে ভয় দেখানোর জন্য করা হচ্ছে। হিন্দুদের ভয় পাইয়ে নির্বাচন জেতার চেষ্টা করছে।” একইসঙ্গে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “সরকার ধীরে ধীরে দুর্নীতির পাঁকে ঢুকে যাচ্ছে। অত্যাচার আর আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ নিয়ে বিগত কয়েকদিনে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা গিয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। তপ্ত হয়েছে জঙ্গিপুর থেকে সুতি। কলকাতাতেও হয়েছে মিছিল। এদিনও পার্ক সার্কাসে ওয়াকফের প্রতিবাদে মিছিল দেখা যায়। অন্যদিকে ১৬ তারিখ নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জেনদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম যদিও বলছেন, লড়াইটা লড়তে হবে সুপ্রিম কোর্টে। অন্যদিকে ২০ এপ্রিল থেকে মুসলিম মহল্লায় পাল্টা প্রচারে নামছে বিজেপি। আদতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের স্বার্থেই যে এই বিল আনা হচ্ছে তা প্রচার করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্যে প্রত্যেক মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে হবে ভিন্ন ভিন্ন বৈঠক। শেষ পর্যন্ত এখন জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।