BJP-TMC: ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কট করা হয়েছে, তুফানগঞ্জে উঠল অভিযোগ
BJP: স্থানীয় বাসিন্দা বিজেপি সমর্থক হাফিজুল হকের দাবি, পুরনো একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় প্রায়ই হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের। রবিবারও এসে এখানে তৃণমূলের লোকেরা ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। নাপিত, ধোপা, বাজার সব বন্ধ বলে গিয়েছে। বিজেপি করার জন্য সামাজিক বয়কট করার ডাক দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা বলে দাবি তাঁর।
কোচবিহার: বিজেপি করার কারণে বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে সামাজিক বয়কটের অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের চিলাখানা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের ৭/৭১ নম্বর বুথের জায়গির চিড়িয়াখানা এলাকা। এখানেই একটি জমি সংক্রান্ত পুরানো বিবাদে রাজনীতির রং লেগেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে কখনই দল তা সমর্থন করে না।
স্থানীয় বাসিন্দা বিজেপি সমর্থক হাফিজুল হকের দাবি, পুরনো একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় প্রায়ই হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের। রবিবারও এসে এখানে তৃণমূলের লোকেরা ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। নাপিত, ধোপা, বাজার সব বন্ধ বলে গিয়েছে। বিজেপি করার জন্য সামাজিক বয়কট করার ডাক দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা বলে দাবি তাঁর।
বিজেপি সমর্থক জাকির হোসেন বলেন, “আমরা বিজেপি পার্টি করি তো। আমরা ৫টা বাড়ি বিজেপি করি। আমাদের দল হেরে গিয়েছে। এরপরই জমি নিয়ে যে পুরনো বিবাদ ছিল, তা নিয়ে হুমকি আসছে। ওরা তৃণমূল করে। জিতে এখন হুমকি দিচ্ছে। আমরা এফআইআরও করি। আজ নতুন করে এসে অশান্তি করছে তৃণমূলের ওরা। বলছে পার্টি অফিসে যেতে হবে। না হলে বলছে খারাপ হবে। আমার বাড়ির লোকেরা ভিডিয়ো করেছে। বলছে ভিডিয়ো বাইরে গেলে মারবে। সামাজিক বয়কট করে দিয়েছে আমাদের। বলেছে বাড়ি থেকে বেরোতে পারব না। থানায় যাব।”
যদিও তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এ ধরনের সামাজিক বয়কটের ঘটনা আমাদের দল তৃণমূল কখনওই অনুমোদন করে না। কিন্তু কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল, কারা ঘটাল সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, দু’টো পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা। তাকে কেন্দ্র করেই কেউ কেউ দলের পতাকা ব্যবহার করে জটিলতা তৈরি করতে চাইছে। কেউ দলীয় পতাকার অপব্যবহার করলে ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে প্রশাসনকেও জানাব। দল এই ধরনের ঘটনাকে অনুমোদন দেয় না।”