Suvendu Adhikari: প্রতি ট্রাক থেকে পুলিশ টাকা তোলে, নিজের কাছে আড়াই হাজার টাকা রাখে: শুভেন্দু
Coochbehar: শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ট্রাক থেকে টাকা তোলে। আমপনারা দেখছেন লাইন দিয়ে ওভার লোডিং পাথরগাড়িগুলি দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেকদিন প্রতি মিনিটে, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি ট্রাক থেকে পুলিশ টাকা তোলে। আড়াই হাজার টাকা নিজের কাছে রাখে। আর বাকি সাড়ে সাত হাজার টাকা কলকাতায় পাঠায়। আজ লুট চলছে।"

শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলনেতাImage Credit source: Tv9 Bangla
কোচবিহার (চ্যাঙরাবান্ধা): জেলায়-জেলায় চলছে বিজেপি-র ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’। আর ভোটের আগে জনসংযোগ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি। এসআইআর ইস্যুতে মুখ খোলার পাশাপাশি কেন পরিবর্তন দরকার তাও জানালেন শুভেন্দু।
আর বিরোধী দলনেতার বক্তব্য একনজরে…
- শুভেন্দু অধিকারী: পরিবর্তন দরকার কারণ রতন টাটাকে তাড়িয়েছেন ইনি। এর আমলে ৬, ৮৮৮ শিল্প বন্ধ হয়েছে। কোথায় গেলেন পরেশবাবু? মেখলিগঞ্জে এখনও উন্নয়ন নেই। চোর পরেশ অধিকারীর জন্য ২৬ হাজার চাকরি গেছে। তোলা তোলা ছাড়া অন্য কিছু করেনি। কেন পরিবর্তন দরকার?
- শুভেন্দু অধিকারী: ট্রাক থেকে টাকা তোলে। আপনারা দেখছেন লাইন দিয়ে ওভার লোডিং পাথরগাড়িগুলি দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেকদিন প্রতি মিনিটে, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি ট্রাক থেকে পুলিশ টাকা তোলে। আড়াই হাজার টাকা নিজের কাছে রাখে। আর বাকি সাড়ে সাত হাজার টাকা কলকাতায় পাঠায়। আজ লুট চলছে, লুট চলছে, আর লুট চলছে। অজয় রায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে জেল খাটাল। এই পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
- শুভেন্দু অধিকারী: মোদীজী ৭২ লক্ষ শৌচালয় দিয়েছেন। আপনারা পাননি। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পাননি। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করতে দেননি। এই জন্য পরিবর্তন দরকার।
- শুভেন্দু অধিকারী: ভারতের জনতা পার্টি কথা দিতে পারে, প্রতি হাতে কাজ, প্রতি পেটে ভাত, প্রতি মাথায় ছাদ বিজেপি দেবে। অন্য কেউ দিতে পারবে না। চ্যাংরাবান্ধা চেকপোস্ট বিজেপিই চালু করতে পারে। আর কেউ পারবে না। কিছু লোক টোটো চালিয়ে খেত। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এদের থেকেও টাকা তুলতে চায়। ছ’মাসের পর মমতা থাকবে না। তাই যাওয়ার আগে লুটেপুটে খাচ্ছে। টোটো ভাই-বোনেরা এক টাকাও দেবেন না। গ্যারান্টার বিরোধী দলনেতা। একজায়গায়ও যদি পুলিশ অত্যাচার করে বিজেপি বাকিটা বুঝে নেবে।
- শুভেন্দু অধিকারী: তৃণমূল এসআইআর-এ বাধা দিচ্ছে কারণ,উনি লুটের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী। উনি রোহিঙ্গা-অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে মুখমন্ত্রী। ভারতীয় মুসলিম আপনারা অল্প সংখ্যায় ভোট দেন। তবুও আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। আপনারা ভারতীয়। আপনারা পরম্পরা মেনে এখানেই আছেন। আপনাদের নাম থাকবে। এই বর্ডারে মানুষ পাচার থেকে সব পাচার হয়। সব বর্ডার এলাকায় বেরা দেওয়া যায়নি। কারণ, তৃণমূল এখানে ১০ হাজার ১২ হাজার নিয়ে বেআইনি ভোটার আধার তৈরি করে। যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে যায়।