Cooch Behar: ক্লাস শেষ হওয়ার পর বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে জামাকাপড় খুললেন শিক্ষিকা, তারপর… স্কুলে ভয়ঙ্কর ঘটনা

Cooch Behar: বুধবার সকালে স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। বাড়ি ফিরে পড়ুয়ারা তাদের বাড়িয়ে গিয়ে বিষয়টা জানায়। শিক্ষিকার হাতে নিগ্রহের কথা শুনে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তালা ঝুলিয়ে দেন স্কুলে।

Cooch Behar: ক্লাস শেষ হওয়ার পর বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে জামাকাপড় খুললেন শিক্ষিকা, তারপর... স্কুলে ভয়ঙ্কর ঘটনা
ছাত্রদের নিগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষিকা অনিতা রায় অধিকারীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2024 | 8:51 PM

কোচবিহার:  দিদিমণির ব্যাগ থেকে খোয়া গিয়েছে টাকা। আর কেবল সন্দেহের বশেই স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে  দিনহাটা পুটিমারি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাণী নিকেতন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে।

বুধবার সকালে স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। বাড়ি ফিরে পড়ুয়ারা গোটা বিষয়টা অভিভাবকদের জানায়। শিক্ষিকার হাতে নিগ্রহের কথা শুনে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তালা ঝুলিয়ে দেন স্কুলে। স্কুলের পড়ুয়াদের বয়ান অনুযায়ী, বুধবার স্কুল চলাকালীন শিক্ষিকা অনিতা রায় অধিকারী হঠাৎই জানান, তাঁর মানিব্যাগের চেইন খোলা রয়েছে এবং সেখান থেকে টাকা হারিয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, তারপরেই স্কুলের বাচ্চাদের এনে বিবস্ত্র করে তল্লাশি করেন এবং বেধড়ক পেটানো শুরু করেন।

যদিও তল্লাশির পর বাচ্চাদের কাছ থেকে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন অভিভাবকরা। অপরদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শিক্ষিকা অনিতা রায় অধিকারী  দায় স্বীকার করে নিয়ে বলেন,  তিনি তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য হাজার দেড়েক টাকা মানিব্যাগে নিয়েই স্কুলে যান। স্কুল চলাকালীন তিনি খেয়াল করেন তার মানিব্যাগের চেইন খোলা রয়েছে। এবং সেখানে একটি টাকাও নেই। এরপর মিড ডে মিল রাঁধুনিদের সহায়তায় তিনি বাচ্চাদের তল্লাশি করেন। দুই পড়ুয়াদের মারধরও করেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু বেধড়ক মারধরের কথা স্বীকার করেননি তিনি।

শিক্ষিকার আরও অভিযোগ,  অভিভাবকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এবং  বাড়ির লোকেদের গালিগালাজ করেন এবং মারার হুমকি দেন।

অপরদিকে ঘটনার অভিযোগে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গুলির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সমিতি এডুকেশন অফিসার বিষয়টি জেনে বলেন, “যদি শিক্ষিকা এমনটি করে থাকেন, তাহলে তিনি মারাত্মক অপরাধ করেছেন। বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার শিক্ষার অধিকার আইনের বিরুদ্ধে। সমগ্র বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”