Court Order: আরজি করের মাঝেই বড় রায়, গণধর্ষণ প্রমাণিত, ২৫ বছরের কারাদণ্ড
Court Order: ঘটনার দিন শীতলকুচি যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। কলেজে ঢোকার মুখ থেকেই ওই তরুণীকে উঠতে বলে তিন জন। অপরাধীর মধ্যে ১ জন ছিলেন তাঁর সহপাঠী। তাই গাড়িতে ওঠেন নির্যাতিতা। কলেজে না গিয়ে নির্যাতিতাকে মূল অভিযুক্ত নিয়ে যায় তার পিসির বাড়ি।
কোচবিহার: শীতলকুচি গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত তিন জন। দোষীদের ২৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক জরিমানা ঘোষণা করলেন বিচারক । জরিমানার টাকা যাবে ধর্ষিতার কাছে। আদালতে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক নয়ার আজাম খান। সাজাপ্রাপ্তরা হল জমির হোসেন, ফিরোজ আলম মিয়া, একরামুল হক ওরফে রাসেল মিঞা।
শীতলকুচিতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ২০২১ সালে। দিনটা ছিল ২১ ডিসেম্বর। তরুণীর তরফ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ২৩ ডিসেম্বর। 376D , SC ST নিরোধন আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই খবরটিও পড়ুন
ঘটনার দিন শীতলকুচি যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। কলেজে ঢোকার মুখ থেকেই ওই তরুণীকে উঠতে বলে তিন জন। অপরাধীর মধ্যে ১ জন ছিলেন তাঁর সহপাঠী। তাই গাড়িতে ওঠেন নির্যাতিতা। কলেজে না গিয়ে নির্যাতিতাকে মূল অভিযুক্ত নিয়ে যায় তার পিসির বাড়ি। সেখানেই ধর্ষণ করে সে। সেইসময় মোবাইলে দিয়ে ভিডিয়ো করে অন্য এক অভিযুক্ত। পড়ে একে একে বাকিরাও গণধর্ষণ করে নির্যাতিতাকে। বাইরে বলে দিলে ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় ।
নির্যাতিতা এসব জানায় তার এক সহপাঠীকে। সহপাঠী তাকে পরামর্শ দেয় নির্যাতিতার মা-কে সব বলার জন্যে। সেই মতো মা-কে জানায় নির্যাতিতা ।
গরীব পরিবারের মেয়ে । বাবা রাজ্যের বাইরে কাজ করতেন। স্ত্রীর কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন নির্যাতিতার বাবা। তারপর থানায় মামলা দায়ের হয়। গণধর্ষণের মামলা শুরু করে শীতলকুচি থানার পুলিশ । মামলায় যুক্ত হয় SC-ST নির্যাতনের ধরা । মামলা চলে যায় DSP র্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছে। মাথাভাঙা SDPO মামলার দায়িত্ব নেন। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়। ফরেনসিক বিশেষ্ণরা রিপোর্ট দেন। তারপর ২ বছর মামলা চলার পর আজ সাজা ঘোষণা।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)