Dinhata Gun Fire: ভরদুপুরে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি নেতাকে গুলি করে ‘খুন’, উত্তপ্ত দিনহাটা
Dinhata Gun Fire: বাড়িতে ঢুকে এলাকার বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায় বসুনিয়াকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতার বাড়ি দিনহাটার শিমুলতলা এলাকায়।
দিনহাটা: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। নিহত বিজেপি নেতার নাম প্রশান্ত রায় বসুনিয়া। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দিনহাটার শিমুলতলা এলাকায়। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি দাবি করেছেন, নিহত ব্যক্তি বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুরনো কোনও শত্রুতার কারণেই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়ে থাকতে পারেন তিনি। তবে তিনি এও দাবি করেছেন প্রশান্ত কোনও পরিচিত নেতা নন। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত বিজেপি মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। এলাকার সংগঠনের কাজে সক্রিয় ছিলেন বলে স্থানীয় নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে।
পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে বাড়িতে খাটে বসেছিলেন প্রশান্ত। বাড়ির বারান্দার গেট খোলা ছিল। সে সময়ে কয়েকজন যুবক ঘরে ঢুকে তাঁকে গুলি করেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, ঘরে যে গুলি চলেছে, তার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশও। খাটের সামনে পড়ে ছিল চাপ চাপ রক্ত। গুলির শব্দ শুনতে পেয়েই পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দিনে দুপুরে এইভাবে ঘরে ঢুকে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিবারের দাবি, যে যুবকরা ঘরে ঢুকেছিলেন, তাঁরা পরিচিত নন। অতর্কিত এই ঘটনায় হতভম্ব পরিবার। ঘটনার কারণ নিয়ে বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই পরিবারের কোনও সদস্যই। তাই তাঁদের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেছেন, “হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওই ব্যক্তি বিজেপির কত বড় নেতা, সেটাও বলতে পারব না। তবে এটা জানি, অনেক অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আইন আইনের পথে চলবে।”
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিনহাটা এমনিতেই স্পর্শকাতর এলাকা। এই ‘খুনের’ নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ থাকুক, কিংবা অরাজনৈতিক, বিষয়টি যথেষ্টই উদ্বিগ্নের, বলছে প্রশাসনই। ভরদুপুরে বাড়িতে ঢুকে এভাবে গুলি করে খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা।