Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kirtan: মদ্যপ অবস্থায় গিয়ে কীর্তন বন্ধ? সমস্ত অভিযোগ ওড়াল পুলিশ

Coochbehar: পুলিশের দাবি, মাইক জোরে বাজানো নিয়ে দুজন পুলিশকে জানায় যে জোরে জোরে মাইক বাজানো হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা কীর্তনের সঙ্গে যুক্ত সেই সকল ব্যক্তিদের দাবি, সত্তর বছর ধরে এই কীর্তন হচ্ছে। সেই কীর্তন বন্ধ করতে দিতে বলেছে পুলিশ।

Kirtan: মদ্যপ অবস্থায় গিয়ে কীর্তন বন্ধ? সমস্ত অভিযোগ ওড়াল পুলিশ
কীর্তন বন্ধের অভিযোগ Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2025 | 9:04 PM

কোচবিহার: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে মদ্যপ অবস্থায় থাকা পুলিশ আধিকারিকের কীর্তি মনে আছে? এবার কলকাতা নয়, কোচবিহারে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল। কোচবিহার শহরে সত্তর বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা অস্টকালীন কীর্তন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করলেন উদ্যোক্তরা। বিষয়টি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের।

পুলিশের দাবি, মাইক জোরে বাজানো নিয়ে দুজন পুলিশকে জানায় যে জোরে জোরে মাইক বাজানো হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা কীর্তনের সঙ্গে যুক্ত সেই সকল ব্যক্তিদের দাবি, সত্তর বছর ধরে এই কীর্তন হচ্ছে। সেই কীর্তন বন্ধ করতে দিতে বলেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁদের এও অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের দু’জন এসেও নাকি হুমকি দিয়েছেন। পরবর্তীকে মাইক বন্ধ করে দিয়ে গিয়েছেন। এক অভিযোগকারী বলেন, “রাত্রে দুটো নাগাদ রাসের দল যখন স্টেজে উঠতে শুরু করেন তখন বাধার সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে প্রথমে মাইক বন্ধ করে দেয়। তারপর আমরা সাউন্ড কমিয়ে দিয়ে হালকা করে চালাই। তখনই মদ্যপ পুলিশ আসেন। তাঁরা মহিলাদের হেনস্থা করার চেষ্টার করেন। কিন্তু গ্রামের মহিলা একজোট হলে ওরা চলে যান। এরপর র‌্যাফ এসে কীর্তন বন্ধ করে দেয়। পুলিশ বলছে কেউ মাইক চালাতে পারবে না। আমরা রাতে মাইক বন্ধ রাখি কিন্তু রাস কীর্তন মাইক ছাড়া হয় না।” তবে পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,অভিযোগ পেয়ে মাইক বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কোনও রকম কীর্তন বন্ধ করা হয়নি।

এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে। তিনি বলেন, “এই কীর্তনের সঙ্গে মানুষের ভাবাবেগ জড়িত। সেই কীর্তন বন্ধ করে দেওয়া হল। রাজ্যের মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “যাঁরা প্রচার করছে এগুলো তাঁরা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িকতা তৈরির চেষ্টা করছে। যার জন্য এরা যখন কোথাও যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।