
তুফানগঞ্জ: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোটে। এদিকে তার আগে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠী কোন্দলে’ তুফানগঞ্জে ভাঙল পুর বোর্ড। তা নিয়েই এখন জোর চাপানউতোর জেলার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই জেলায় তীব্র আকার ধারণ করেছে তৃণমূলের অন্তরদলীয় কোন্দল। একের পর এক পুরসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা। কিন্তু তা নিয়ে বিশেষ রা করতে দেখা যায়নি রাজ্য, এমনকী জেলা নেতৃত্বকে। তবে কী তলে তলে পাকছে অন্য কোনও রসায়ন? তুফানগঞ্জে পুর বোর্ড ভাঙতেই তরজা তুঙ্গে।
দলেরই কিছু কাউন্সিলর অনাস্থা এনেছেন তুফানগঞ্জ পুরসভার পুর প্রধানের বিরুদ্ধে। এই পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণা ঈশোর। কিন্তু, কেন তাঁকে সরানো হচ্ছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। দলের নেতারাও চুপ। কেন আচমকা অনাস্থা তা নিয়েও বিশেষ মুখ খুলছেন না কেউ।
বোর্ড ভাঙার পর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা ঈশোর আক্ষেপের সুরে বলেন, দুর্নীতি না করেও যে চেয়ার ছাড়তে হয়, সেটা আজ বুঝলাম। সূত্রের খবর, আস্থা ভোটে একযোগে ১০ জন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেন। তাতেই পদ থেকে সরতে হচ্ছে কৃষ্ণাকে। এদিকে অনাস্থা আনার নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যান আস্থা ভোটের আয়োজন না করাতে শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলররাই তার আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার পুরসভার কনফারেন্স হলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনোদবিহারী বর্মনকে সভাপতি করে শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুকুমার সাহা, চেয়ারপারসন, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ সমস্ত কাউন্সিলররাই।