Nisith Pramanik: ‘রাজ্য সরকার নিরাপত্তা না দিলে CISF থাকবে’, কোচবিহার বিমানবন্দর নিয়ে মুখ খুললেন নিশীথ
Coochbehar Airport: ইতিমধ্যেই একাধিকবার বিমান চালনা নিয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গিয়েছে কোচবিহারে। নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগে ছোট বিমান নামার পর নিরাপত্তা জনিত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
কোচবিহার: ফের একবার কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচলের খবর শোনালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কোচবিহারে বিমান নামলে, বিমান ঘাঁটির নিরাপত্তা রাজ্য সরকারের দেওবার কথা। কিন্তু এর আগে রাজ্য সরকার নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেছিল। এবার নিরাপত্তা না দিলে সিআইএসএফ (CISF) দিয়েই বিমান চালনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই একাধিকবার বিমান চালনা নিয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গিয়েছে কোচবিহারে। নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগে ছোট বিমান নামার পর নিরাপত্তা জনিত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বিমান বন্দরের রানওয়ে ছোট হওয়ার কারণে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে একাধিকবার জমি নিয়ে রানওয়ে বাড়ানোর কথা হলেও তা বিশবাঁও জলে।
এ দিন নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “ইতিমধ্যেই উড়ান স্কিমের আওতায় কোচবিহার বিমান বন্দর চলে এসেছে। সুখবর খুব শীঘ্রই আমরা পেতে চলেছি। একটি সংস্থা কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে ইতিমধ্যেই বিমান উত্তোলন-অবতরণের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। ভুবনেশ্বর-জামশেদপুর-কলকাতা হয়ে কোচবিহারে চলাচল করা হবে। জামশেদপুর এয়ারপোর্টে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে বাকি তিনটি এয়ারপোর্টে কোনও সমস্যা নেই।” একই সঙ্গে তিনি এও জানান, “কোচবিহারের রানওয়ে ১ কিলোমিটার। বড় বিমানের ক্ষেত্রে রানওয়ে দ্বিগুন লাগে। পরবর্তীতে রাজ্যের কাছে জমি চাইব। যদি রাজ্যে সরকার নিরাপত্তার সহযোগিতা না করে তাহলে সিআইএসএফ নিরাপত্তা দেবে।”
এরপর দীর্ঘ টাল বাহানা পর ফের একবার বিমান চালনা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণায় নতুন করে ফের একবার জল্পনা শুরু উত্তরের এই প্রান্তিক জেলাতে।