AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cooch Behar: হেডফোনের তার দিয়ে বাঁধা হাত, ঘরের মধ্যেই স্ত্রী-ছেলে-সহ অধ্যাপকের নিথর দেহ, উদ্ধার দীর্ঘ ১২ পাতার সুইসাইড নোট!

Unnatural Death: কোচবিহারের এবিএন কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক উত্‍পল তাঁঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে শহরেই বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। আদি বাড়ি দিনহাটার গোসানিমারিতে। মঙ্গলবার থেকেই কারুর কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা

Cooch Behar: হেডফোনের তার দিয়ে বাঁধা হাত, ঘরের মধ্যেই স্ত্রী-ছেলে-সহ অধ্যাপকের নিথর দেহ, উদ্ধার দীর্ঘ ১২ পাতার সুইসাইড নোট!
মৃত অধ্য়াপক ও তাঁর স্ত্রী, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 7:50 PM
Share

কোচবিহার: হাত বাঁধা হেডফোনের তার দিয়ে। ঘরের মধ্যে সিলিঙ থেকে ঝুলছে অধ্যাপকের দেহ। পাশের ঘরে নিথর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্ত্রী-পুত্রর দেহ! ঘরের মধ্যেই পড়ে রয়েছে দীর্ঘ ১২ পাতার সুইসাইড নোট (Suicide Note)! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কোচবিহারের। গোটা পরিবার-সহ অধ্যাপকের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কার্যত হতবাক পুলিশও। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম উত্‍পল বর্মণ।

কোচবিহারের এবিএন কলেজের অস্থায়ী শিক্ষক উত্‍পল তাঁঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে শহরেই বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। আদি বাড়ি দিনহাটার গোসানিমারিতে। মঙ্গলবার থেকেই কারুর কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। এদিকে বাড়িতেই ছিলেন সকলেই। বুধবার সকালেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। তিনি খবর দেন প্রতিবেশীদের। সকলে মিলে এসে ডাকাডাকি করেও যখন অধ্যাপকের ঘরের দরজা খুলল না, তখন পুলিশে খবর দেন তাঁরা।

পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, ঘরের মধ্যে  সিলিঙ থেকে ঝুলছে উত্‍পলের নিথর দেহ। পাশের ঘরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁরই স্ত্রী-পুত্রের নিথর দেহ। এদিকে, হেডফোনের তার দিয়ে বাঁধা ছিল উত্‍পলের। যা দেখে মূলত সন্দেহ হয় পুলিশ কর্তাদের। উত্‍পল যদি আত্মঘাতী হয়ে থাকেন তবে কী করে হেডফোন দিয়ে বাঁধা ছিল হাত যা নিয়ে ধন্দ দেখা দেয় তদন্তকারীদের একাংশের।

ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। তিনি গোটা ঘটনা পরিদর্শন করেন। ঘর থেকে উদ্ধার হয় ১২ পাতার একটি সুইসাইড নোট। পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, প্রথমে স্ত্রীকে খুন করেন উত্‍পল। ছেলে সেই খুনের ঘটনা দেখে নেওয়ায় তাকেও খুন করেন। শেষে নিজে আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে, শেষে সুইসাইড নোটের শেষে লেখেন, “চললাম”। তবে, আদৌ এই সুইসাইড নোট আদৌ উত্‍পলের লেখা কি না, এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মৃতের বেশ কিছু পরিজন জানিয়েছেন, অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের ছিলেন উত্‍পল। সকলের সঙ্গেই সদ্ভাব রেখে চলতেন। কারোর সঙ্গেই কোনও বিরোধ ছিল না। তবে, কিছুদিন যাবত্‍ বেশ কিছু অ্যাপস থেকে টাকা নিয়েছিলেন উত্‍পল। সেইসব অ্যাপ থেকে টাকা লেনদেনের খবর জানতেন মৃতের আত্মীয়রাও। কোনওকারণে অতিরিক্ত ঋণের জন্য এই চূড়ান্ত পদক্ষেপ কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: Child Death: চাই ১২০০ টাকা! দু’ঘণ্টা ধরে সদ্যোজাতকে কোলে চেপে রাখলেন বৃহন্নলা, ক্রমশ নেতিয়ে পড়ল ছোট্ট দেহটা…