কোচবিহার: দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলেছে স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা আদৌ কতটা সফল হয়েছে, সে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে শৈশব হোক বা কৈশোর, ছাত্রজীবনের স্বাদটাই বাদ পড়ে যাচ্ছিল পড়ুয়াদের। স্কুল কিংবা কলেজ মানে তো নিছক পড়োশোনা নয়! বড় হয়ে ওঠার একটা অধ্যায়। তাই স্কুল খোলার (School Reopening) সিদ্ধান্ত নিয়ে যতই বিতর্ক থাক, স্কুল খুলতেই আনন্দে মেতে উঠেছে পড়ুয়ারা। অন্তত তেমন ছবিই ফুটে উঠল তুফানগঞ্জের নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল স্কুলে। বন্ধুদের কাছে পেয়ে শ্রেণীকক্ষের ভিতরেই নাচানাচি শুরু করল পড়ুয়ারা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল সেই ছবি। আর সেই ভিডিয়ো ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। শিক্ষাঙ্গনে এমন ধরনের ‘উদ্দাম নাচ’ কি শোভনীয়? প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই।
কী দেখা গিয়েছে সেই ভাইরাল ভিডিয়োটিতে? দেখা গিয়েছে, স্কুলেরই ছাত্রীরা ইউনিফর্ম পরেই ক্লাসরুমের মধ্যে হিন্দি গানে নাচ করছে। কখনও কোমর বেঁকিয়ে, কখনও চুল খুলে, কখনও বা স্লো মোশনে গানের তালে তালে নিখুঁত স্টেপ ফেলে নাচ করছে ওই পড়ুয়ারা। ক্লাসের কিছুজন মাস্ক পরে থাকলেও বাকিদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ববিধি।
স্মার্ট ফোন রয়েছে সকলের হাতেই। ফলে, সেই নাচের মুহূর্ত ভিডিয়ো করে ভাইরাল করতে বিশেষ সময় লাগেনি। আর এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, কেন এভাবে শ্রেণীকক্ষের মধ্যেই ছাত্রীরা এভাবে ‘চটুল’ গানে নাচানাচি করবে? স্কুল ইউনিফর্ম গায়ে এভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়োটি তাঁর হাতে এসেছে। দেখার পর ওই ছাত্রীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। কেন তারা এমন কাজ করল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে, ওই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে ঘটনায় ভাইরাল ভিডিয়োতে থাকা ওই ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। এমনকী, ভিডিয়োটি কীভাবে ভাইরাল হল তা নিয়েও মুখ খোলেনি।
প্রসঙ্গত, স্কুল খুললেও কোভিড বিধি ভুললে চলবে না, তাই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। সেই মর্মে বিদ্যালয়গুলিকে নোটিসও জারি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুম রাখার কথা বলা রয়েছে, আচমকা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে যেন সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়।
পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও উল্লেখ রয়েছে স্কুল রিওপেন বুকলেটে। যাতে কারও জ্বর এলে বা অসুস্থ হলে প্রাথমিক ভাবে তা সামাল দিতে পারেন স্কুলে স্যার, দিদিমণিরা। আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে এই গাইডলাইন বুকে। বার বার শিক্ষাবিদ বা চিকিৎসকরা বলছিলেন, সম্ভব হলে দুই শিফটে ক্লাস হোক। গাইডলাইনেও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি ও পরিকাঠামোর দিকে নজর রেখে প্রয়োজনে স্কুল দুই শিফট অর্থাৎ মর্নিং ও ডে’তে ক্লাস করাতে পারে।
করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুলকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Child Death: চাই ১২০০ টাকা! দু’ঘণ্টা ধরে সদ্যোজাতকে কোলে চেপে রাখলেন বৃহন্নলা, ক্রমশ নেতিয়ে পড়ল ছোট্ট দেহটা…
কোচবিহার: দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলেছে স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা আদৌ কতটা সফল হয়েছে, সে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে শৈশব হোক বা কৈশোর, ছাত্রজীবনের স্বাদটাই বাদ পড়ে যাচ্ছিল পড়ুয়াদের। স্কুল কিংবা কলেজ মানে তো নিছক পড়োশোনা নয়! বড় হয়ে ওঠার একটা অধ্যায়। তাই স্কুল খোলার (School Reopening) সিদ্ধান্ত নিয়ে যতই বিতর্ক থাক, স্কুল খুলতেই আনন্দে মেতে উঠেছে পড়ুয়ারা। অন্তত তেমন ছবিই ফুটে উঠল তুফানগঞ্জের নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল স্কুলে। বন্ধুদের কাছে পেয়ে শ্রেণীকক্ষের ভিতরেই নাচানাচি শুরু করল পড়ুয়ারা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল সেই ছবি। আর সেই ভিডিয়ো ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। শিক্ষাঙ্গনে এমন ধরনের ‘উদ্দাম নাচ’ কি শোভনীয়? প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই।
কী দেখা গিয়েছে সেই ভাইরাল ভিডিয়োটিতে? দেখা গিয়েছে, স্কুলেরই ছাত্রীরা ইউনিফর্ম পরেই ক্লাসরুমের মধ্যে হিন্দি গানে নাচ করছে। কখনও কোমর বেঁকিয়ে, কখনও চুল খুলে, কখনও বা স্লো মোশনে গানের তালে তালে নিখুঁত স্টেপ ফেলে নাচ করছে ওই পড়ুয়ারা। ক্লাসের কিছুজন মাস্ক পরে থাকলেও বাকিদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ববিধি।
স্মার্ট ফোন রয়েছে সকলের হাতেই। ফলে, সেই নাচের মুহূর্ত ভিডিয়ো করে ভাইরাল করতে বিশেষ সময় লাগেনি। আর এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, কেন এভাবে শ্রেণীকক্ষের মধ্যেই ছাত্রীরা এভাবে ‘চটুল’ গানে নাচানাচি করবে? স্কুল ইউনিফর্ম গায়ে এভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়োটি তাঁর হাতে এসেছে। দেখার পর ওই ছাত্রীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। কেন তারা এমন কাজ করল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে, ওই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে ঘটনায় ভাইরাল ভিডিয়োতে থাকা ওই ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। এমনকী, ভিডিয়োটি কীভাবে ভাইরাল হল তা নিয়েও মুখ খোলেনি।
প্রসঙ্গত, স্কুল খুললেও কোভিড বিধি ভুললে চলবে না, তাই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। সেই মর্মে বিদ্যালয়গুলিকে নোটিসও জারি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুম রাখার কথা বলা রয়েছে, আচমকা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে যেন সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়।
পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও উল্লেখ রয়েছে স্কুল রিওপেন বুকলেটে। যাতে কারও জ্বর এলে বা অসুস্থ হলে প্রাথমিক ভাবে তা সামাল দিতে পারেন স্কুলে স্যার, দিদিমণিরা। আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে এই গাইডলাইন বুকে। বার বার শিক্ষাবিদ বা চিকিৎসকরা বলছিলেন, সম্ভব হলে দুই শিফটে ক্লাস হোক। গাইডলাইনেও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি ও পরিকাঠামোর দিকে নজর রেখে প্রয়োজনে স্কুল দুই শিফট অর্থাৎ মর্নিং ও ডে’তে ক্লাস করাতে পারে।
করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুলকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: Child Death: চাই ১২০০ টাকা! দু’ঘণ্টা ধরে সদ্যোজাতকে কোলে চেপে রাখলেন বৃহন্নলা, ক্রমশ নেতিয়ে পড়ল ছোট্ট দেহটা…