Udayan Guha: ‘রাবণ ছিলেন, গোঁফ কেটে মন্দোদরী হয়েছেন…’, দলের নেতাদের ‘সাধু সাজে’ ক্ষুব্ধ উদয়ন
Udayan Guha: সম্প্রতি উদয়ন গুহ এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি দলের নেতা-কর্মীদের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, "এই হারের পিছনে সবথেকে বেশি দায়ী হলেন কয়েকজন কাউন্সিলর। তাঁরা নিজের গায়ে কালির ছিটে লাগতে দেবেন না। সাধু সেজে থাকবেন।"
দিনহাটা: কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিককে হারালেও ফলাফলের হিসেবে দেখা গিয়েছে, দিনহাটা শহরে হার হয়েছে তৃণমূলের। কোচবিহার শহরেও ফল ভাল হয়নি শাসক শিবিরের। সেই হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কার্যত কাউন্সিলরদের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর। তাঁর দাবি, কয়েকজন কাউন্সিলর ‘সাধু সেজে’ ভোট করানোতেই এই হার হয়েছে। উদয়নের এই বক্তব্যে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি জোরজুলুম করে ভোট করালে তবেই জিততে পারে তৃণমূল?
সম্প্রতি উদয়ন গুহ এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি দলের নেতা-কর্মীদের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, “এই হারের পিছনে সবথেকে বেশি দায়ী হলেন কয়েকজন কাউন্সিলর। তাঁরা নিজের গায়ে কালির ছিটে লাগতে দেবেন না। সাধু সেজে থাকবেন। দেখাবেন, কারও ওপর জোর দেখাচ্ছি না, হুমকি দিচ্ছি না। সাধুর মতো ভোট করানোর চেষ্টা করেছে বলেই আমরা হেরেছি। নাহলে হারতাম না।”
এরপরই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে উদয়ন বলেন, “আসন্ন পুরভোটে অনেকে টিকিট নাও পেতে পারেন। কাউকে কাউকে দল টিকিট নাও দিতে পারেন।” গায়ের জোর ছাড়া জিতে দেখান বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন উদয়ন। বলেন, “যাঁরা আগে রাবণ ছিলেন, গোঁফ চেঁচে মন্দোদরী হয়েছেন, তাঁরা গায়ের জোর ছাড়া কীভাবে জেতেন, সেটাও আমাকে দেখতে হবে।”
বিরোধীদের প্রশ্ন, গায়ের জোর ছাড়া কি তাহলে তৃণমূলের পক্ষে জেতা সম্ভব নয়? বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, “মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যেই পরিষ্কার, যেখানে হার্মাদগিরি করেছে সেখানে জিতেছে। যেখানে গণ্ডগোল করতে পারেনি, সেখানে হার হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে এটা পরিষ্কার। ক্ষমতা দখলের জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে তৃণমূল।”