TMC: ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত, দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে আটকে রাখলেন তৃণমূলীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 01, 2021 | 3:33 PM

100 Days Work: বিক্ষোভকারীদের দাবি, বারোকোদালী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনোরোমা বর্মন কে একাধিকবার ১০০ দিনের কাজের দাবি জানালেও তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে।

TMC: ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত, দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে আটকে রাখলেন তৃণমূলীরা
তৃণমূলে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব প্রতীকী ছবি

Follow Us

কোচবিহার: ১০০ দিন কাজ (100 days work) থেকে বঞ্চিত গ্রামবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত প্রধানকে (Panchayat Pradhan) অসুবিধার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানকে আটকে রেখে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তাঁর দলেরই শতাধিক কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Coochbihar) -এর তুফানগঞ্জ এলাকায়।  এদিকে ওই তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, তিনি আসলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।

জানা গিয়েছে, সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান ও আধিকারিকদের আটকে রেখে অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল হল তৃণমূলেরই একাংশ। এদিন দুপুরে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বারোকোদালি ১ নং গ্রামপঞ্চায়েত এই বিক্ষোভ দেখা যায়। কী নিয়ে বিক্ষোভ?

বিক্ষোভকারীদের দাবি, বারোকোদালী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনোরোমা বর্মন কে একাধিকবার ১০০ দিনের কাজের দাবি জানালেও তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। একাধিকবার মাস্টার রোলে সই করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে তা জমা দিলেও সেই কাজ আজ অবধি তাঁরা পাননি। রুরিরুটির দাবিতে এই প্রতিবাদের রাস্তা নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। এদিন একশো দিনের কাজের দাবিতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৩০০ জন মানুষ পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে তুমুল বিভোভ দেখান। তাঁকে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের উপর তাঁরা আর আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বিডিও যতক্ষণ না এসে তাঁদের ১০০ দিনের কাজের আশ্বাস দেবেন ততক্ষণই তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে সাফ জানান তাঁরা। এদিকে এই অবস্থান-বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনোরোমা বর্মন দাবি করেন, তাঁকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তা তিনি জানেনই না। এর আগেও তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে বলে খবর। আবার দলের উর্ধ্বতন পক্ষের চাপে পরবর্তীতে তা তুলেও নেওয়া হয়। তার পরে এই বিক্ষোভে দলেরই একাংশকে নিশানা করেছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে শিকার বলে এদিন স্পষ্ট দাবি করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান । পাশাপাশি তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিরুধ্যেই অভিযোগ করেন। এদিকে গোটা ঘটনায় অস্বস্তি তে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তবে তাঁরা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সব মিলিয়ে এদিন দলের একাংশের এহেন বিক্ষোভে চাপে তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: Rajib Banerjee VS Kalyan Banerjee: ‘আমার দল ছাড়ার শোক কাটাতে পারেননি’, কল্যাণের কটাক্ষের জবাব ‘টপ টু বটম কোরাপ্টেড’ রাজীবের 

Next Article