Rajib Banerjee VS Kalyan Banerjee: ‘আমার দল ছাড়ার শোক কাটাতে পারেননি’, কল্যাণের কটাক্ষের জবাব ‘টপ টু বটম কোরাপ্টেড’ রাজীবের

kalyan Banerjee: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীবকে 'টপ টু বটম কোরাপ্টেড' বলেও ভর্ৎসনা করেন রবিবার।

Rajib Banerjee VS Kalyan Banerjee: 'আমার দল ছাড়ার শোক কাটাতে পারেননি', কল্যাণের কটাক্ষের জবাব 'টপ টু বটম কোরাপ্টেড' রাজীবের
তৃণমূলে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 2:48 PM

কলকাতা: দলে ফিরতেই দলীয় সাংসদের কাছ থেকে তীব্র কটাক্ষ শুনতে হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee)। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) রাজীবকে ‘টপ টু বটম কোরাপ্টেড’ বলেও ভর্ৎসনা করেন রবিবার। তবে কল্যাণ প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যে বেশ সাবধানী তা বোঝা গেল সোমবার। ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় ফিরেই কল্যাণ প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, “আমার দল ছাড়ার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি কল্যাণবাবু। তাই হয়ত বলেছেন। উনি আমার শ্রদ্ধেয়।”

এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার শ্রদ্ধেয় অভিভাবক। তাঁর সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। আমার দল ছাড়াটায় উনি এত দুঃখ পেয়েছিলেন সেই শোক এখনও তিনি ভুলতে পারেননি। তাই তিনি কিছু বক্তব্য রেখেছেন। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত।”

ঠিক কী বলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রবিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফেরার পর কল্যাণ এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমায় মেনে নিতে হবে। একদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের কোনও সাধারণ কর্মীকে দুঃখ দিয়ে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরানো হবে না। সেখানে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো টপ টু বটম কোরাপ্ট নেতাকে দলে যোগদান করানো হল। নির্বাচনের সময় ডোমজুড়ের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজীবের কলকাতায় তিনটে বাড়ি আছে। ওর টাকা দুবাই এ খাটানো হয়। তারপরেও কেন এমন নেতাকে দলে ফেরানো হল, জানা নেই। আজ আমার সুনীল গাঙ্গুলির কবিতা ছিল ‘কেউ কথা রাখেনি’ সেটা মনে পড়ছে। আমি তো দলের সাধারণ কর্মী। যা সিদ্ধান্ত দল নিয়েছে তা মেনে নিতে হবে।”

একই সঙ্গে কল্যাণের বক্তব্য ছিল, “রাজীবের ভ্য়ালু যে জিরো, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইজ় আ জিরো তা আমরা প্রমাণ করে দেখিয়েছি। ওকে আমরা ডোমজুড়ে ৪৩ হাজার ভোটে হারিয়েছি। আমরা সাধারণ কর্মী। শুধু লড়াইটাই করতে জানি। দিদি বলেছিলেন দলে কোনও গদ্দারদের নেবেন না। এখন সেই গদ্দারের প্যারামিটার কতটা আমার জানা নেই। কারণ, কুণাল না জানলেও রাজীব যে দিদির সম্পর্কে কী কী কথা বলেছে তার দশ বারোটা ভিডিয়ো আমার কাছে আছে।”

যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে রাজীবের সুর নরম থাকলেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চেয়েছে, তাই তিনি আবারও তৃণমূলে ফিরেছেন। ফলে এ নিয়ে অন্য কারও বক্তব্য মোটে গুরুত্ব পাবে না। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দল যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জয়েন করানোর, সুতরাং সেটা সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। আমি তাই ফিরেছি। আমি আশা করি এসব থাকবে না। সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক ছিল, আছে, থাকবে।”

একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগদানের পর প্রথমবার কলকাতায় পা রেখে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বলেন, “আমি আগেও মমতাদির ছবি হাতে নিয়ে বলেছিলাম আমার জীবনে যদি কারও অবদান থাকে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাও বলেছিলাম যতদিন বেঁচে থাকব ওনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব, অনুগত থাকব। সম্মান জানাব। আমি জেদের বশে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন: ‘আপনি তো বিজনেসম্যান, কিছুই বোঝেননি…সেরেল্যাক খান মাঝে মাঝে’