Rudranil Ghosh: ‘পারিবারিক রসায়ন, প্রতিবেশীরা দু-চার দিন আলোচনা করবে’
Rajib Banerjee: চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে ফেরেন তিনি।
কলকাতা: তৃণমূল ছাড়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি হাতে রাজীবের বেরিয়ে আসার সেই দৃশ্য অনেকের মনেই উজ্জ্বল। এমনকি রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদেও ফেলেছিলেন তিনি। তারপর চার্টার্ড বিমানের যাত্রী হয়ে তাঁর দিল্লি যাওয়ার ইতিহাস সবারই জানা। তারপর ভোটের প্রচারে তৃণমূল তথা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) আক্রমণ করতে শোনা যায় তাঁকে। কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই সামনে আসে বিজেপির (BJP) প্রতি ক্ষোভ। তাঁর তৃণমূলে (TMC) ফেরা সময়ের অপেক্ষা ছিল। তিনি ঘাসফুলে ফেরার পর বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বললেন, রাজনীতি সর্বদাই সম্ভাবনার জায়গা। তাঁর দাবি, এ হল আসলে পারিবারিক রসায়ণ। প্রতিবেশীরা এ নিয়ে দুচার দিন আলোচনা করে চুপ করে যাবেন।
চাটার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই বিমানে চেপে ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে ওয়াপসি রাজীবের। সেই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, রাজনীতি সর্বদাই সম্ভাবনার জায়গা। সব দল ডিপ্লোম্যাসি ব্যাবহার করে। তবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলই দৃঢ় মন্তব্য করতে পারে না। আশা করতে পারে মাত্র। অর্থাৎ তৃণমূলে ফিরলেও রাজীবের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই বলেই মন্তব্য করেন তিনি। রুদ্রনীলের কথা, কে বসে যাবে, কে অন্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে যাবে, কিম্বা রিক্সা না চাটার্ডে চড়বে তা বলা মুস্কিল।
তৃণমূলে ফিরে রাজীব বলেছেন, ‘আমি ডবল ইঞ্জিন বলতাম, ত্রিপুরা থেকে আত্মীয়রা বলেছিল ত্রিপুরায় সিঙ্গেল ইঞ্জিনও নেই, আমি ভুল ছিলাম।’ এখন শুধু মমতার ইঞ্জিন চলছে, বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রাজীবের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রুদ্রনীলের কটাক্ষ, ‘এই প্রশ্নের উত্তর ইঞ্জিনিয়াররা দিতে পারবেন। কোন ইঞ্জিন, কত হর্স পাওয়ারে, কতদূর ছুটতে পারে তা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানের বিষয়। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িনি।’ গতকাল ত্রিপুরায় অভিষেকের সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজীব দাবি করেছেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার চলা সত্ত্বেও ত্রিপুরায় বেকারদের চাকরি হয়নি।
এক সময় যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাইপো বলে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনিই এবার নেতা হিসেবে মেনে নিচ্ছেন অভিষেককে। সেই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, ‘অভিষেক শুধু নেতা নন। একজন পারিবারিক মানুষও বটে। তাই উনি কারও ভাইপো, কারও কাকা, কারও দাদা, কারও স্বামী, এমনকী কারও বাবাও। রাজীববাবু নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী দৃষ্টিভঙ্গি ও সম্মোধন পাল্টেছেন। তৃণমূল পরিবারে ফেরার অনুমতিও পেয়েছেন। এটা পারিবারিক রসায়ণ। প্রতিবেশীরা এ নিয়ে দুচার দিন আলোচনা করে চুপ করে যাবেন। সব পাড়াতেই এসব হয়। বাকি গোপন রসায়নটা রাজীববাবুই বলতে পারবেন।’