Rajib Banerjee: পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে কেন্দ্রকে দোষারোপ রাজীবের, বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাল্টা তোপ ‘দিদিকে বলো’

Sukanta Majumdar: পেট্রোপণ্যকে যেন জিএসটির আওতায় আনা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন রাজি হন, তার ব্যবস্থা করুন। রাজীবকে পরামর্শ সুকান্তের।

Rajib Banerjee: পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে কেন্দ্রকে দোষারোপ রাজীবের, বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাল্টা তোপ 'দিদিকে বলো'
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজীব-সুকান্ত তরজা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 3:22 PM

কলকাতা: তৃণমূলে ফিরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) বলেছিলেন তিনি ‘লজ্জিত’, ‘অনুতপ্ত’। বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর ভুল হয়েছিল। বিজেপি ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনীতি করে, যা বাংলার সঙ্গে একেবারেই যায় না। সোমবার আরও একবার সে প্রসঙ্গই তুলে রাজীবের বক্তব্য, ‘আমাকে বলা হয়েছিল মানুষের উন্নয়নে কাজ হবে। কিন্তু হয়নি। আমি তো মানুষের স্বার্থেই বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দলটাকে চিনতেই ভুল হয়েছিল।’ যদিও বার বার বিজেপিকে রাজীবের ‘জনস্বার্থ বিরোধী দল’ বলে তুলে ধরা মোটেই মেনে নিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বরং তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন, রাজীব কোন স্বার্থে বিজেপিতে এসেছিলেন তা তিনি স্পষ্ট করুন। একই সঙ্গে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যখন বার বার কেন্দ্র সরকারকে দোষী ঠাওরাচ্ছেন রাজীব, তখন পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, এ সমস্যার সমাধানে রাজীব যেন মুখ্যমন্ত্রীকেই বলেন।

ত্রিপুরা থেকে সোমবার কলকাতায় ফিরে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার দল তাঁকে যে দায়িত্ব দেবে সেটাই তিনি নত মস্তকে পালন করবেন। একই সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমি জেদের বশে অভিমান করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম যেখানে যাচ্ছি নিশ্চিত ভাবে বাংলার মানুষের স্বার্থে কাজ করব। সেদিনও গিয়েছিলাম মানুষের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতেই। সেখানে গিয়ে আমি দেখেছি যে পরিবেশ তাতে কাজ করা সম্ভব নয়। তখনই মনে হয়েছে আমার ভুল হয়ে গেল। আমি বারবার বলেছিলাম বাংলায় যদি রাজনীতি করতে হয়, ধর্মীয় মেরুকরণ বিবাদ-বিভাজন চলবে না। এ নিয়ে নির্বাচন করলে জেতা যাবে না। এখানে উন্নয়নই শেষ কথা। আমাকে তখন বলা হয়েছিল হবে। আমি বার বার বলেছিলাম পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাস, কেরোসিনের দাম কমাতে হবে। বার বার বলা হয়েছিল করা হবে, কিন্তু তা হয়নি।”

রাজীবের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তিনি (রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়) বলতে পারবেন কী স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেটা মুখে বলছেন সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন নাকি অন্য স্বপ্ন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কোন স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে এটা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেই ভাল। ওনার উচিৎ মুখ্যমন্ত্রীকে একটা চিঠি লেখা। পেট্রোপণ্যকে যেন জিএসটির আওতায় আনা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন রাজি হন। তা হলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন পেট্রোপণ্যের দাম লিটার পিছু ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই ওনার হাতে এখন আরও সহজ উপায় আছে। আমি বলব ওনাকে সহজ উপায়টা বলে দিলাম। উনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগদানের পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যিনি আবার তাঁর ঘরে ফেরানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। আমি প্রণাম ও সম্মান জানাই নেত্রীকে। আমি ভুল করেছিলাম। স্বীকার করছি আমি ভুল করেছিলাম। একটা অভিমানে, জেদের বশে, রাগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেদিনও আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানা করেছিলেন। তাই আজ বলতে দ্বিধা নেই। অভিষেক আমাকে আধঘণ্টা ধরে বুঝিয়েছিলেন। আমি লজ্জিত এবং অনুতপ্ত।”

আরও পড়ুন: ‘আমার দল ছাড়ার শোক কাটাতে পারেননি’, কল্যাণের কটাক্ষের জবাব ‘টপ টু বটম কোরাপ্টেড’ রাজীবের