Gariahat double murder: কাঁকুলিয়া জোড়া খুনে অবশেষে মুম্বই থেকে পাকড়াও ভিকি, গ্রেফতার আরও এক
Vicky Halder arrest: দাগী অপরাধীর মতোই ঘন ঘন ডেরা বদল করেছে ভিকি। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে কোনও আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বাড়িতেও যায়নি সে।
কলকাতা: কাঁকুলিয়া জোড়া খুনের (Murder) কিণারা প্রায় করে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তবে এই খুনে মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারকে (Vicky Halder) কোনওভাবেই গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে মুম্বই (Mumbai) থেকে গ্রেফতার করা হল ভিকিকে। শুভঙ্কর মণ্ডল নামে তার আরও এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মুম্বইয়ের একটি নির্ণীয়মান বহুতলে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা। সেখানে থেকেই ভিকি ও শুভঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
কাঁকুলিয়ায় সুবীর চাকি ও তাঁর চালককে একই দিনে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে ভিকি ও তার মায়ের সন্ধান পায়। তার মা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হলেও ভিকিকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। বারবার মোবাইল নম্বর বদলে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল। বারবার ডেরাও বদলাচ্ছিল। তাই তাকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর হাওড়া থেকে ট্রেনে ওঠে ভিকি ও তার বন্ধু। তারা পরেশনাথের টিকিট কাটে। তবে টিকিট কাটলেও পরেশনাথে নামেনি সে। এরপর সোজা চলে যায় মুম্বই। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই এমনটা করে বলে অনুমান পুলিশের। মুম্বইতে কালাচৌকি এলাকার একটি নির্ণীয়মান বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছিল সে। এ দিকে প্রথম থেকেই তার ওপর নজর ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের। প্রথমে পরেশনাথে গিয়েও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ। পরে তারা মুম্বইতে যায়। গত শনিবার রাতে ভিকিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিকির মা মিঠু হালদার ও আরও তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করেই ভিকির খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভিকি পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এবার তাকে গ্রেফতার করার পর তাদের কলকাতায় আনা হচ্ছে। কলকাতায় আনার পর ভিকিকে জেরা করলে খুনের আসল রহস্য, খুনের কারণ জানা যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ। কারণ, তার মা মিঠু আগেই পুলিশকে জানিয়েছিল যে ভিকির সঙ্গে বসেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, আজ না হোক ভিকি ধরা পড়বে এ কথা জানাই ছিল। তিনি আরও বলেন, মুম্বই থেকে ভিকি ধরা পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি ছিল, কারণ ভিকি মুম্বইতে কিছুদিন কাজ করে এসেছে। সে হিন্দিতে কথা বলতে পারে, কিছুটা ইংরেজিও বলতে পারে। তাই মুম্বইতে তার পক্ষে কাজ পাওয়া সহজ ছিল। এবার ঘটনাস্থলে ভিকিকে নিয়ে গিয়ে ঘটনা পুনর্নির্মান করা হলেই খুনের পিছনে থাকা আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, বাড়ি সারানোর নাম করেই ভিকির দুই সঙ্গী বাপি ও জাহির গাজিকে ডেকে এনেছিল মিঠু। আগে খুন করা হয়। তারপর চলে অবাধে লুঠ। খুনের দিন বাড়িতে ঢোকার পর ওপরের ঘরে চলে যান ভিকি। চালককে আগে খুন করা হয়। ওপরের ঘরে খুন করা হয় চালককে। পরে নীচে নেমে আসেন ভিকি। একতলায় ছিলেন সুবীর চাকি।
আরও পড়ুন: ‘আমার দল ছাড়ার শোক কাটাতে পারেননি’, কল্যাণের কটাক্ষের জবাব ‘টপ টু বটম কোরাপ্টেড’ রাজীবের