AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kali Puja: আদালতের নির্দেশও গুরুত্ব দেওয়া হয় না, পুজোর ভিড় নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ

Kali Puja: কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় যাতে দুর্গাপুজোর পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য মামলা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অজয় দে নামে জনৈক ব্যক্তি।

Kali Puja: আদালতের নির্দেশও গুরুত্ব দেওয়া হয় না, পুজোর ভিড় নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ
পুজো নিয়ে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 1:57 PM
Share

কলকাতা: পুজো নিয়ে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় রোখার আর্জি নিয়ে আবারও আদালতে মামলা দায়ের করা হল। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও দুর্গাপুজোয় বেলাগাম ভিড় দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ।

সোমবার এজলাসে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের পর্যবেক্ষণ, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ মানার মতো দায়বদ্ধতাটুকু কারও নেই? যে ভাবে যেভাবে ভিড় হয়েছে তা নিয়ন্ত্রন করা হয়নি কেন?’

কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় যাতে দুর্গাপুজোর পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য মামলা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অজয় দে নামে জনৈক ব্যক্তি। সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করেন। মামলা করার অনুমতি দেয় হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ।

এর আগে দুর্গাপুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং করোনা বিধি মানার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলাটি রুজু হয়। মামলাকারীর আবেদন ছিল, হাইকোর্ট গত বছর যে নির্দেশিকা জারি করেছিল সেটাই এ বছরও বলবৎ থাকুক। আদালত পুজোর মণ্ডপকে নো এন্ট্রি জ়োন হিসাবে ঘোষণা করে।

কিন্তু এরপর রাজ্যের তরফে পুজোর সময় যে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয় সেখানে ১১ দফা নির্দেশিকায় অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা থেকে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য পৃথক গেট রাখার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে আদালত অবমাননার নোটিস ধরানো হয় রাজ্যকে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশে এইগুলির কোনওটাই করার কথা নয়। তাই আদালত অবমাননার মামলা করা হচ্ছে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে পুজো নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় দুর্গোৎসবে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে পুজো মণ্ডপগুলিতে। যা এই মুহূর্তে মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। তাই পুজো কমিটিগুলি ভিড় নিয়ন্ত্রণ করুক এবং করোনা বিধি মেনে পুজো হোক, এই আবেদন নিয়েই মামলাটি হয়। তবে শুধু দুর্গাপুজো নয়, কালীপুজোতেও একইরকম ভিড় নজরে আসে পুজো মণ্ডপগুলিতে।

গত বছরও একটি মামলা করেছিলেন অজয় দে। তাঁর জনস্বার্থ মামলার নিরিখে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ মিটারের মধ্যে কোনও ভাবেই কোনও দর্শক মণ্ডপে থাকবেন না। এমনকী যাঁরা পুজো পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন, তাঁরাও ইচ্ছামতো মণ্ডপে ঢুকবেন-বেরোবেন, সেটাও হতে পারে না। ২৫ জনের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল সেবার আদালতে।

এ বছর কালীপুজোর আগে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। উৎসবের রসুমে আবারও করোনার প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে। এই অবস্থায় পুজোর দিনগুলিতে নাইট কার্ফুও বাতিল করা হয়েছে। ট্রেন চলছে। ফলে কালীপুজো কিংবা জগদ্ধাত্রী পুজোয় মানুষের যে ঢল নামতে চলেছে সে আশঙ্কা রয়েই যায়। মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু ৪ তারিখ বৃহস্পতিবার কালীপুজো।

আরও পড়ুন: Local Train: ট্রেন লেট! বসে গিয়েছে সিগন্যালিং সিস্টেম, দ্বিতীয় দিনেই হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা