
ডাউয়াগুরি: একের পর এক জেলায় পরপর তৃণমূল নেতা খুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। শনিবার প্রকাশ্য দিবালোকেই পরপর গুলি। কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল কোচবিহার ডাউয়াগুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলে অমর রায়। তা নিয়ে সরগরম গোটা জেলা। একদিন আগেই হত্যার পিছনে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন বাবা মহিম চন্দ্র রায়। এবার মা বলছেন তিনি পুলিশে আস্থা রাখতে পারছেন না।
তিনদিন কেটে গেলেও এখনও ধরা পড়েনি খুনি। সে কারণেই পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কুন্তলা দেবী। ক্ষুব্ধ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। সে কারণেই দাবি সিবিআই তদন্ত চাই। কুন্তলা রায়ের অভিযোগ পুলিশ কিছুই করছে না। এর আগে গত কয়েক বছরে এই ডাউয়াগুরি এলাকায় আরও ৩ জন খুন হলেও আজও অধরা খুনি। তাই পুলিশের প্রতি বিশ্বাস নেই। তাই আর পুলিশ দিয়ে হবে না, সিবিআই চাই বলেই দাবি তাঁর। সিবিআই তদন্ত করলে দোষীরা ধরা পড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলছেন, “পুলিশ চাইলে সবই করতে পারে। কিন্তু কেন করতে চাইছে না বুঝতে পারছি না। এতদিন তো পুলিশের উপর ভরসা রাখছিলাম। আর রাখতে পারছি না। তাই আমাদের সিবিআই দরকার। সিবিআই তদন্ত দরকার। আমি চাই দুষ্কৃতীদের ধরা হোক। ওদের ফাঁসির সাজা হোক।”
এদিকে কুন্তলা রায়ের দাবি ঘিরে শোরগোল শুরু শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। চাপানউতোর চলছে দলের অন্দরেও। অন্যদিকে একদিন আগেই অমরের বাবা মহিম চন্দ্র রায় বলছিলেন, “আমি দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু গতরাতে তাঁকে ফোনে পায়নি। রবিবার দেখা হয়েছে। আমি ওনাকে জানিয়ে দিয়েছি, আমার কিছু বলার রয়েছে। সবটাই ব্যক্তিগত। পরে সবাইকে জানাব।” এরপরই বলেন, “আমায় একজন এসে বললেন, অমর হাটে যাওয়ার সময় একটা ফোন এসেছিল। জানতে চাওয়া কোথায় যাচ্ছে সে।”