
কোচবিহার: কোচ রাজাদের আরাধ্যাদেবী বড় দেবী। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে আজও একই পরম্পরা ও রাজ্ ঐতিহ্য মেনেই পূজিত হয়ে আসছেন কোচবিহারের বড় দেবী। কথিত আছে কোচ রাজবংশের মহারাজা বিশ্বসিংহ এই পুজো শুরু করেছিলেন। তবে মহারাজা বিশ্বসিংহের পুত্র নরনারায়ণ তার স্বপ্নাদেশে রক্তবর্ণা বড়দেবীকে দেখতে পান। আর সেই স্বপ্নে পাওয়া দেবীই আজকের বড়দেবী।
বর্তমানে রাজা আর নেই, তবে বড় দেবীর পুজোর সেই একই রীতি ও পরম্পরা মেনেই চলে আসছে। কোচবিহার ও আশেপাশের মানুষ বড় দেবীকে পুজো দিয়েই দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন। তবে দেবী দুর্গার সঙ্গে বড়দেবীর পূজা ও রীতিতে রয়েছে বেশ কিছু তফাৎ। মূর্তিতেও তফাৎ অনেকটাই। দেবী দুর্গার সঙ্গে যেমন দেখা যায় লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশকে তেমনই এখানে বড়দেবীর সঙ্গে আসে জয়া ও বিজয়া। দেবী এখানে সিংহের সঙ্গে বাঘের উপরে আসীন।
প্রায় ২ মাস আগে ময়না কাঠের যুগোচ্ছেদের পর বিভিন্ন পুজোর মধ্যে দিয়ে তৈরি হয় বড় দেবীর মূর্তি। শোনা যায় একদম শুরু দিকে এই পুজোয় নরবলিও হত। পরবর্তীতে মহারাজা তা বাতিল করেন। তবে প্রথা অনুযায়ী এই পুজোয় নররক্ত প্রয়োজন। সেই নিয়ম মেনে কল্যাণীর এক পরিবার অষ্টমীর রাতে নিজের আঙুল চিরে রক্ত দেন। সেই রক্তে পূজিত হন বড়দেবী।