হুগলিতে টর্নেডোর দাপট, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে লকেট, দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলেন অসিত
টর্নেডোর দাপট কমার পরেই ব্যান্ডেলে আসেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ঘুরে দেখেন সমস্ত এলাকা। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। ঝড়ের দাপটে যাঁদের বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁদের দ্রুক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে জানান সাংসদ (BJP MP)। অন্যদিকে, চুঁচূড়া পৌরসভার ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যে এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অসিত মজুমদার।
হুগলি: ইয়াস (Cyclone Yaas) আছড়ে পড়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে আচমকা টর্নেডোর দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে ব্যান্ডেল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি-ঘর, উড়ে গিয়েছে চাল। আহত হয়েছেন অনেকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন বিধায়ক সাংসদরা। মঙ্গলবার, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে আসেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। অন্যদিকে, প্রায় ওই সময়ে হুগলির অনত্র ত্রাণ বিতরণের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়, তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে (Asit Majumder)।
টর্নেডোর দাপট কমার পরেই ব্যান্ডেলে আসেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ঘুরে দেখেন সমস্ত এলাকা। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। ঝড়ের দাপটে যাঁদের বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁদের দ্রুক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে জানান সাংসদ (BJP MP)। অন্যদিকে, চুঁচূড়া পৌরসভার ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যে এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অসিত মজুমদার। এলাকাবাসীর হাতে তুলে দেন ত্রিপল ও শুকনো খাবার। ঝড়ের থেকে বাঁচতে পৌরসভার পক্ষ থেকে যে অস্থায়ী ত্রাণশিবির তৈরি করা হয়েছে, সেই শিবিরেই সকলকে চলে যেতে অনুরোধ করেন বিধায়ক। এমনকী, ইয়াসের মোকাবিলায় তিনি যে এলাকাবাসির সঙ্গেই আছে তাও জানান অসিতবাবু। তিনি বলেন, “অসহায় অবস্থা সকলের। কেউ দেখার নেই। আপাতত যে মুক্তমঞ্চ তৈরি হয়েছে, সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এঁরা সকলেই যাতে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ পান তার ব্যবস্থা করছি। যাঁরা কৃষক তাঁরা চাষের কাজেও ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমি এরমধ্য়েই পুরপ্রশাসককে জানিয়েছি, যাঁরা যাঁরা ক্ষতির সম্মুখীন, তাঁদের নাম ও ছবি সমেত একটি লিখিত আমার কাছে জমা দিতে। বাকিটা আমি দেখে নেব। সরকার মানুষের পাশে আছে।”
রাত পোহালেই রাজ্য ঘেঁষে ওড়িশা উপকূলে ধাক্কা মারতে চলেছে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আমফানের ভয়াবহ স্মৃতি উস্কে এক বছরের মাথায় এই আসতে চলা এই ঘূর্ণিঝড় সামাল দিতে প্রায় সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে রাজ্য সরকার। বিপদসঙ্কুল এলাকাগুলি থেকে দ্রুত সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে। জায়গায় জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল।
আরও পড়ুন: ‘রক্তচোষা রাজ্যপাল, গণতন্ত্রের কসাই’, ধনখড়কে কড়া আক্রমণ কল্যাণের