AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘রক্তচোষা রাজ্যপাল, গণতন্ত্রের কসাই’, ধনখড়কে কড়া আক্রমণ কল্যাণের

শ্রীরামপুরের সাংসদ (Kalyan Banerjee) এদিন আরও দাবি করে বলেন, "করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকার ব্যর্থ। বাংলায় ভোটের সময় বাইরে থেকে এসে খুব কুমীরের কান্না কেঁদেছিল। এখন তাদের দেখছি না কেন! ভোট মিটে গিয়েছে তাই!"

'রক্তচোষা রাজ্যপাল, গণতন্ত্রের কসাই', ধনখড়কে কড়া আক্রমণ কল্যাণের
ফাইল ছবি
| Updated on: May 23, 2021 | 4:46 PM
Share

হুগলি: ভোটপর্ব মিটলেও অব্যাহত কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত। ভোট পরবর্তী হিংসার খতিয়ান দেখতে দিল্লি থেকে বাংলায় এসেছে কেন্দ্র নিয়োজিত বিশেষ প্রতিনিধিদল। এরপর, খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) রাজ্য় সফরে বেরিয়েছেন। গিয়েছেন নন্দীগ্রামেও। রাজ্য়পালের এই যাতায়াত ভাল চোখে দেখেনি রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, সংবিধান পালন ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা সুনিশ্চিত করতে চেয়ে রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক টুইট করেছেন ধনখড়। এরপর নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র-সহ চার হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে সিবিআইকে (CBI) চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দেন রাজ্যপাল। এ বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেই কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।

রবিবার, রিষড়া ওয়েলিংটন জুটমিলের মঠে খাদ্য সামগ্রী বিলি করতে এসে রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। এদিন, কল্যাণ বলেন, “রাজ্যপালের জন্যই সব হয়েছে। হি ইজ আ ব্লাডসাকার (Blood Sucker)। রক্তচোষা একটা। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। গণতন্ত্রের কসাই। সারাক্ষণ তৃণমূলের পেছনে পড়ে রয়েছে। আমি সারা বাংলার মানুষকে বলব আপনারা থানায় থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কেস করে রাখুন। এখন রাজ্যপাল থাকাকালীন তো কোনও কেস হবে না, কিন্তু যখন ওঁ রাজ্য়পাল থাকবেন না তখন তাঁর বিরুদ্ধে এই কেস করা যাবে। ওঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে হবে।”

এখানেই থামেননি তৃণমূল সাংসদ। বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, ”নারদা মামলায় রাজ্য়ের বিধায়ক মন্ত্রীদের গ্রেফতারির পেছনে হাত রয়ছে রাজ্যপালের। তিনি সকলকে ইনফ্লুয়েন্স করছেন। সিবিআই চার্জশিট পেশের অনুমতি চাইল জানুয়ারি মাসে। রাজ্যপাল সেটা চেপে রেখে দিল। তারপর গত ৭ মে হঠাৎ মনে হল আর অনুমতি দিয়ে দিল! সম্পূর্ণ আইনবিরোধী কাজ করেছেন রাজ্যপাল। ওঁর ল্যান্ড ফোন, মোবাইল ফোন ট্যাপ করা হোক। দেখা যাবে কখন কোথায় কোথায় কোন অফিসারদের সঙ্গে কী কী কথা হয়েছে। তখনই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।” রাজ্যপালকে এভাবে আক্রমণের পাল্টা বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “রাজ্যপালকে এভাবে আক্রমণ করা সমীচীন নয়। যে দোষী সে উচিৎ শাস্তি পাবে। সেইদিকেই লক্ষ্য রাখা উচিত।”

শ্রীরামপুরের সাংসদ (Kalyan Banerjee) এদিন আরও দাবি করে বলেন, “করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকার ব্যর্থ। বাংলায় ভোটের সময় বাইরে থেকে এসে খুব কুমীরের কান্না কেঁদেছিল। এখন তাদের দেখছি না কেন! ভোট মিটে গিয়েছে তাই! তৃণমূল কিন্তু তখনও ছিল, এখনও আছে। আমি গতবছরও এসেছিলাম। এ বছরেও এসেছি। মানুষের পাশে থাকা এখন নৈতিক দায়িত্ব।  আমি তা পালন করব।”

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, বরাবরই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে। ভোট আবহেও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়  রাজ্যপালকে ‘সাদা হাতির’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। সেইসময়, তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি, নারদা মামলার জেরে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় বারবারই কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন মমতা। কখনও শয্যা চেয়ে, কখনও টিকা চেয়ে কখনও বা অক্সিজেন চেয়ে একের পর এক পত্রাঘাত করেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের অভিযোগ, তাতে গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র। সম্প্রতি, নারদা মামলার পর কোভিড নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ, বৈঠকে মমতার তরফে কোনও সদর্থক মনোভাব প্রকাশ পায়নি। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলার ব্যাপারে উদাসীন কেন্দ্র। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সরাসরি রাজ্যপালকে সাংসদ কল্যাণের এভাবে নিশানা করা কার্যত রাজনৈতিক সংঘাতেরই অংশ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়ক শীতল কাপাটকে দেখতে হাসপাতালে হাজির শুভেন্দু, কথা বললেন থানাতেও